বাগবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে কলকাতা পুরসভা
রাত ১০টা নাগাদ আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা। তবে শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুরমন্ত্রী জানান, যে সমস্ত পরিবারগুলির ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে তা পুরসভা নতুন করে বানিয়ে দেবে। যতদিন পর্যন্ত এই ঘর না তৈরি হচ্ছে ততদিন তাঁদের থাকা-খাবার সংস্থানের ব্যবস্থা পুরসভার পক্ষ থেকেই করা হবে।
সূত্রের খবর, কমপক্ষে শতাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের বাসস্থান চলে গিয়েছে আগুনের গ্রাসে। সারদা মায়ের বাড়ির অফিসের একাংশও আগুনে পুড়ে যায় বলে খবর। তবে ভক্তদের নিশ্চিন্ত করে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মায়ের বাড়ি সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে। উদ্বোধন কার্যালয়ের কিছু অংশে আগুন লেগেছিল। তবে এখন সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন।
এদিন আগুন লাগার পর পুলিসের বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। গিরিশ পার্ক থেকে সেন্ট্রাল পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে যান চলাচল। ব্যাপক যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দরাও। তবে বস্তির পথ সংকীর্ণ ও ঘিঞ্জি হওয়ার ফলে অকুস্থলে পৌঁছতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি দমকলের ইঞ্জিন এলেও পরে দমকলের ২৭টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগুন লাগার প্রায় ৪৫ মিনিট পর দমকল এসে পৌঁছয়। কিন্তু ততক্ষণে প্রায় ৭-৮ সিলিন্ডার ফেটে যায়। ফলে হাওয়ার বেগে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে যেতে থাকে এবং গোটা বস্তিকে গ্রাসে নিয়ে নেয়।
উত্তেজনা আয়ত্তে আনতে এলাকায় র্যাফ নামানো হয়। প্রাণহানীর কোনও না পাওয়া গেলেও শীতের রাতে কয়েকশো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রাত ১০টা নাগাদ আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা। তবে শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুন লাগার পরই বস্তিবাসীদের বের করা হয়। আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা আপাতত নেই। পাশেই দু’টি বহুতল রয়েছে, সেখানে আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল। সেখানকার বাসিন্দাদের বের করা হয়। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে একজন দমকলকর্মী জখম হন।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দমকলের ডিজি জগমোহন। তিনি জানান, কেন আগুন লাগল তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।