কলকাতা: নারদ-কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এটি একটি চক্রান্ত বলে দাবি করেন প্রাক্তন বিচারপতি। আদৌ, এই কাণ্ডটির কোনও যথার্থতা আছে কি না তা নিয়ে সন্দেহও প্রকাশ করেন তিনি। এবার বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমি কেন জেল খাটলাম? তাহলে আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছিল।”
নারদ-কাণ্ড নিয়ে কী বলেছেন অভিজিৎ?
প্রাক্তন বিচারপতি বিজেপিতে যোগদান করার আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি পদ্মশিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন। সেই নিয়ে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, নারদ কাণ্ডে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম জড়িয়ে রয়েছে, তাঁকে কীভাবে সতীর্থ করছেন তিনি? এরই উত্তর দিতে গিয়ে অভিজিৎ বলেছিলেন, “প্রথমত বলতে চাই নারদ একটি চক্রান্ত। অ্যালকেমিস্ট বলে একটি কোম্পানিকে কাজে লাগিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। এটা কোনও স্টিং অপারেশনই নয়। ওই ভদ্রলোককে ব্যবহার করে করা হয়েছিল।”
এরপরই কার্যত সরব হন কলকাতার মেয়র। তিনি বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমার জেল খাটা বেআইনি। এতে প্রমাণিত হল আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছিল।” ফিরহাদের প্রশ্ন, তিনি কেন জেল খাটলেন? কেন তাহলে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছিল। ববি বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যা বোঝানোর বুঝিয়ে দিলেন। আমি তো প্রশ্ন তুলবই তাহলে শুধু শুধু কেন আমাকে ফাঁসানো হল? আমি তো হাতে টাকা নিইনি। ক্লাবের ছেলেরা টাকা নিয়েছে।”
উল্লেখ্য, এই নারদ-কাণ্ডে রাজ্যের ১৩ জন প্রভাবশালী মন্ত্রী, নেতা, পুলিশ কর্তার নাম জড়িয়েছিল। স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। অভিযুক্তের তালিকায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (তখন তৃণমূলে ছিলেন), তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, মুকুল রায়, প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন সাংসদ সুলতান আহমেদ। এই ঘটনায় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কয়েকদিন জেলেও থাকতে হয়। আজ সেই ঘটনা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন মেয়র।