
কলকাতা: ভবানীপুর নিয়ে ‘আত্মবিশ্বাসী’ রাজ্য়ের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকেই আক্রমণাত্মক রূপ দেখালেন তিনি। ফুৎকার দিয়ে উড়িয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতার দাবি। বললেন, নন্দীগ্রামের মতো কারচুপি করে অন্তত ভবানীপুরে জেতা সম্ভব নয়। বুধবার ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ৮২ নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই অনুষ্ঠান সভা থেকে ভাষণ দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ইঙ্গিতে ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন তিনি।
ফিরহাদের কথায়, ‘কয়েক মাস পরেই নির্বাচন। কিন্তু অনেকেই এখন বলছেন ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেবেন। এখানে তৃণমূল জিততে পারবে না। কিন্তু আমি তাঁদের বলতে চাই, এই জায়গা নন্দীগ্রাম নয় যে কারচুপি করে জিতে যাবেন। এটা ভবানীপুর। এখানে মানুষের ভোট হয়। মানুষ নিজেদের ভোটটা নিজেরা দেয়। সচেতনভাবে দেয়।’ গত কয়েক মাস ধরেই ভবানীপুর নিয়ে নানা দাবি করেছেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের পাশাপাশি ভবানীপুর থেকেও নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। শুভেন্দুর কথায়, ‘নন্দীগ্রামের মতোই ভবানীপুর দাঁড়িয়ে, সেখান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাব।’ অবশ্য, শুভেন্দুর এই ‘স্বপ্ন’, স্বপ্নই থেকে যাবে বলে দাবি তৃণমূল শিবিরের।
এদিন ফিরহাদ আরও বলেন, ‘ওরা (পড়ুন বিজেপি) দাবি করছে যে ভবানীপুরে কারচুপি করে ভোট হয়। এক কোটি ভোটার এই বাংলায় ভুয়ো রয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলছি, ভবানীপুরে ভোট কারচুপি হয় প্রমাণ করে দেখাক। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। আঙুলে কালো কালির দাগ লাগিয়ে এসে কেউ যদি বলে ভোট দিতে পারেনি, তা হলে ভবানীপুর থেকে আমি অন্তত আর কোনও দিন রাজনীতি করব না।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্য়ায় উত্তরবঙ্গ থেকেই নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের বিজয়ী সম্মিলনীতে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নির্বাচনের মাস কয়েক আগে পাহাড় থেকেই নিজের জেতা কেন্দ্র নিয়ে উদ্বেগপূর্ণ বার্তা শোনা গিয়েছে মমতার মুখে। তিনি বলেছেন, ‘আমি দেখছি অনেক এলাকায় গরিব মানুষের বস্তি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বড় বড় বাড়ি তৈরি হয়েছে। আমি এসব জিনিস সমর্থন করি না। আমাদের ভোটারদের তাড়িয়ে দিচ্ছে। ছক কষে ভবানিপুর বহিরাগতদের দিয়ে ভরিয়ে দিচ্ছে।‘ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় উদ্বেগ ঝরে পড়লেও ফিরহাদ অবশ্য আত্মবিশ্বাসী সুরই বজায় রেখেছেন বলেই মত একাংশের।