দিনে দুপুরে হরিদেবপুরে চলল গুলি, ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের বেহালায় হিংসা

Firing at Behala: শনিবার রাতে হরিদেবপুরের শিশির বাগানে গুলি চলে। তার ১২ ঘণ্টার ফের এলাকায় হিংসার ছবি।

দিনে দুপুরে হরিদেবপুরে চলল গুলি, ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের বেহালায় হিংসা
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 13, 2021 | 5:07 PM

কলকাতা: দিনে দুপুরে ফের গুলি চলল হরিদেবপুরে (Haridebpur)। অভিযোগ, রবিবার দুপুরে কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে স্থানীয় মুচিপাড়া বাজারের ভিতর ঢুকে প্রথমে দোকানদারদের মারধর করে। তারপর দু’ রাউন্ড গুলি চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। স্থানীয়দের অভিযোগ, গুলি চালানোর পিছনে ভাস্কর সেন নামে এক দুষ্কৃতীর হাত রয়েছে। এর আগে শনিবার রাতে হরিদেবপুরের শিশির বাগানে গুলি চলে। তার ১২ ঘণ্টার ফের এলাকায় হিংসার ছবি। স্থানীয়দের অভিযোগ, সিন্ডিকেটরাজ ও এলাকা দখলকে ঘিরেই বার বার উত্তেজনা ছড়াচ্ছে হরিদেবপুরে।

দুষ্কৃতীদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও ইতিমধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। শাসকদলের এক পক্ষের অভিযোগ, অন্য গোষ্ঠী এই ঘটনায় মদত দিচ্ছে। ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। মুচিবাজার সংলগ্ন এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ির সামনে গুলি চলে বলে অভিযোগ। সেই সময় স্থানীয়রা বিষয়টি বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়কে জানান। পুলিশকে জানানো হয়। এরপর সেই সময়ের মতো ঝামেলা মিটে যায় বলে স্থানীয়দের দাবি।

কিন্তু রবিবার সকালে ১১টা নাগাদ ফের মুচিবাজার এলাকা উত্তপ্ত হয়। অভিযোগ, বাজারের দুই ব্যবসায়ীর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। তাঁদের মারধর করা হয়। ক্রমেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। সেই ঝামেলার রেশ ধরেই শূন্যে দু’ রাউন্ড গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। এরপরই এলাকায় বেহালা থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী আসে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শনিবার ও রবিবারের ঘটনায় একই দুষ্কৃতী দল জড়িয়ে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই ঝামেলা।

আরও পড়ুন: ‘ভোটের আগে বাংলায় দাঙ্গা পাকানোর ছক কষেছিলেন রাজীব!’

পুলিশ এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। যে ব্যবসায়ীদের মারধর করা হয়েছে অভিযুক্তদের তাঁদের সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত ঝামেলা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে নজরে রাখা হচ্ছে রাজনৈতিক বিবাদের অভিযোগও। যদিও তৃণমূলের একাংশের দাবি, যারা মারধর করেছে তারা দুষ্কৃতী, এটাই তাদের পরিচয়। তাদের রাজনৈতিক কোনও পরিচয় নেই। তবে সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত করছে পুলিশ।