Sabyasachi Dutta in TMC: ঘর ওয়াপসি সব্যসাচীর, পার্থ-ববির হাত থেকে নিলেন ঘাসফুল পতাকা
Sabyasachi Dutta in TMC: বিষ্যুদবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়-সহ ৩ বিধায়কের শপথের পরই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও ফিরহাদ হাকিমের হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা তুলে নিলেন তিনি।
কলকাতা: বেশ কয়েকদিন যাবৎ বেসুরো থাকার পর অবশেষে তৃণমূলেই (TMC) ফিরলেন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)। গত বিধানসভা ভোটের বহু আগে, ২০১৯ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরের অমিত শাহের হাত থেকে পদ্ম পতাকা তুলে নিয়েছিলেন তৎকালীন নিউটাউন রাজারহাটের বিধায়ক। ভোটে লড়েছিলেন বিধাননগর থেকে, সুজিত বসুর বিপরীতে। কিন্তু সাফল্য আসেনি। ফলে ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই ক্রমশ দলের সঙ্গে ফাটল বাড়ছিল সব্যসাচীর। অবশেষে বিষ্যুদবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়-সহ ৩ বিধায়কের শপথের পরই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও ফিরহাদ হাকিমের হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা তুলে নিলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ এই নেতা।
সূত্রের খবর, এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কের পদে শপথগ্রহণের কিছুক্ষণ পরই তাঁর ঘরে দেখা যায় সব্যসাচী দত্তকে। যে সময় মুখ্য়মন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চলছিল, তখনই খবর পাওয়া যায় যে সব্যসাচী বিধানসভায় এসেছেন। কিন্তু তাঁকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায়, আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বসে ছিলেন সবস্যাচী। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে তাঁকে দেখতে পেয়ে মারাত্মক উষ্মাপ্রকাশ করেন সব্য়সাচী বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা। যার মধ্যে সুজিত বসু, তাপস চট্টোপাধ্যায়রা ছিলেন বলে খবর। তার পরই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় যে আজই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র।
যদিও সব্যসাচীকে তৃণমূল তাঁর আগের জায়গা ফিরিয়ে দেবে কি না এই নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, সব্যসাচীকে উত্তর-পূর্বে কোনও বড় দায়িত্ব দিতে পারে তৃণমূল। একই জল্পনা দীর্ঘ সময় ধরে রয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও। এ বারও তিনি কবে ঘরে ফেরেন সে দিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। যদিও সব্যসাচীর তৃণমূলে ফেরায় দলের অন্দরেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। কারণ দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক রেষারেষি রাজনৈতিক মহলে সুবিদিত। তবে দলীয় নেত্রীর সম্মতিই বিপুল বিরোধিতা সত্ত্বেও তাঁর দলে ফেরার রাস্তা কার্যত মসৃণ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: Narendra Modi: ‘আগে সরকারের কাছে ছুটতে হত, এখন…’ গ্রামোন্নয়নের নয়া মন্ত্র শোনালেন মোদী
সব্যসাচীর দলবদলে অবশ্য বিন্দুমাত্র ভাবিত নয় বিজেপি। বরং আদি বিজেপি নেতা যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা এই দলবদলে খুশি। দলের ‘জঞ্জাল’ এতে পরিষ্কার হচ্ছে জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আদি নেতা। কারণ এই ধরনের রাজনীতিকরা ক্ষমতার সঙ্গে থাকতেই পছন্দ করেন। তাই মরসুম বদল হলে দলও বদল করে থাকেন এঁরা। বিজেপির একটা বড় অংশ এমনটাই মনে করছে। তাই সব্যসাচীর দলবদলে বিজেপি নেতৃত্ব ভাবিত তো ননই, বরং অনেকেই খুশি।
সব্যসাচীর দলবদলের পর বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “যেদিন মুকুল রায় চলে গেল সে দিনই আমাদের ভেবে নেওয়া উচিত ছিল যে সব্যসাচী দত্ত আর আমাদের সঙ্গে থাকবেন না। কারণ সব্যসাচী ও মুকুল একটাই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। তা সত্ত্বেও আমাদের দল একটু উদার দল তো, তাই মরা মানুষ নিয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করে থাকি। আমাদেরও চিন্তা করার ব্যাপার আছে যাতে এই ধরনের লোককে গুরুত্ব না দেওয়া হয়।”
আরও পড়ুন: DurjaPuja Guidelines: কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে ভিড়, কীভাবে নিয়ন্ত্রণ যান? নীল নকসা তৈরি কলকাতা পুলিশের