Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

নিউ টাউনে ‘শ্যুটআউট’, ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেনসিক টিম

ইতিমধ্যেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। জেরা করা হয়েছে ফ্ল্যাটের মালিককেও।

নিউ টাউনে 'শ্যুটআউট', ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেনসিক টিম
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 11, 2021 | 11:01 AM

কলকাতা: গত বুধবার নিউ টাউনের শ্যুট আউট হার মানিয়েছে দক্ষিণি ছবির ক্লাইম্যাক্সকেও। অভিজাত আবাসনে লুকিয়ে থাকা দুই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ গ্যাংস্টারকে খুঁজে বের করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে মৃত্যুও হয়েছে তাদের। কিন্তু তারপরও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কেন দুষ্কৃতীরা কলকাতার আবাসনকেই বেছে নিল? কী ভাবে তাদের কাছে এল এ সব অত্যাধুনিক বিদেশি অস্ত্র? সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজ শুক্রবার ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেনসিক দল। ৮ থেকে ১০ জনের টিম আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে।

জানা গিয়েছে, ওই টিমে থাকবেন বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা। টিমে থাকছেন, ফিজিকস বিশেষজ্ঞ, কেমিস্ট্রির বিশেষজ্ঞ, বায়োলজির বিশেষজ্ঞ, ব্যালেস্টিক বিশেষজ্ঞ ও ক্রাইম অ্যান্ড সিন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ। শ্যুটআউটের সময় ঠিক কী হয়েছিল, সেটা খতিয়ে দেখবেন বিশেষজ্ঞরা। ওই ফ্ল্যাট থেকে নমুনাও সংগ্রহ করবেন তাঁরা। তদন্তের ক্ষেত্রে এই টিমের পরিদর্শন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

এ দিকে, গতকালই কলকাতায় এসেছেন মৃত গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লারের বাবা। তিনি নিজেও পাঞ্জাব পুলিশের আধিকারিক ছিলেন। আজ, কলকাতায় এসেছে যশপ্রীত সিং-এর পরিবার। জয়পালের সঙ্গেই এই ফ্ল্যাটে থাকত যশপ্রীত। ঘটনার দিনই তারও মৃত্যু হয়েছে। পাঞ্জাব পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা যশপ্রীতের মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন: গুরুগ্রামে রয়েছে হোটেল, কিন্তু তার আড়ালেই চলত ‘তথ্য পাচারের’ কাজ! আজ NIA-এর মুখোমুখি চিনা নাগরিক

ওই আবাসন থেকে ৭ লক্ষ টাকা, ৫টি আধুনিক অস্ত্র, ৮৯ রাউন্ড গুলি, মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। তাদের ৯ এমএম পিস্তল ছিল বলে জানিয়েছে এসটিএফ। এই পিস্তল সাধারণত পুলিশের কাছে থাকে। বুধবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ শ্যুটআউট শুরু হয়। জয়পাল নিজে ও তার গ্যাং-এর লোকেরা অস্ত্র ব্যবসা, মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পঞ্জাবে তাদেরই গ্যাং প্রকাশ্যে পুলিশকর্মীকে খুন করে। এরপর থেকেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ এই দুষ্কৃতীদের খোঁজ করছিল পাঞ্জাব পুলিশ। কিন্তু তারা কী ভাবে কলকাতার উপকন্ঠে এসে এ ভাবে দিনের পর দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।