কলকাতা: প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বাংলার ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের দ্বিতীয় ও শেষ মুখ্যমন্ত্রীর জীবনাবসান।
আলিমুদ্দিন থেকে বেরিয়ে এবার বুদ্ধবাবুর মরদেহ চলেছে দীনেশ মজুমদার ভবনে। ডিওয়াইএফআইয়ের অফিস। সেখানে মিনিট ১৫ রাখা হবে বুদ্ধবাবুর মরদেহ। এরপর এনআরএস।
আলিমুদ্দিনের সামনে থেকে লম্বা লাইন এজেসি বোস রোড ছাড়িয়ে গিয়েছে। বহু মানুষ রোদ মাথায় রাস্তার ধারে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ফুল মালা নিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁরা। হাতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ছবি।
আলিমুদ্দিনে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তাঁর অনুগামীরা। অগণিত বাম কর্মী উপস্থিত। মুঠিবদ্ধ হাত উপরে তুলে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন কমরেডকে।
বুদ্ধজায়া মীরা ভট্টাচার্য উপস্থিত আছেন। সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী তিনি। শেষ বিদায়েও ছায়া হয়েই থাকলেন। মীরা দেবীর কাছে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। কথা বলেন সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গেও। বিধানসভার গেটে অঝোরে কান্না কর্মী সমর্থকদের।
বিধানসভায় যে জায়গায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে শায়িত রাখা হয়েছিল শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে শায়িত রাখা হয়েছিল। সেখানেই আজ শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল বুদ্ধবাবুকে। তাঁর কমরেডরা তো আছেনই, সঙ্গে আছেন শাসকশিবিরের বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রীরাও। দলমত নির্বিশেষে সকলে উপস্থিত। আবেগঘন মুহূর্ত বিধানসভায়।
রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে থেকেছেন একটা দীর্ঘ সময়। সেই বিধানসভায় আজ পৌঁছল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ। শেষ শ্রদ্ধা জানালেন ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা।
পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পিস ওয়ার্ল্ডের উদ্দেশে রওনা দিলেন বুদ্ধজায়া মীরা ভট্টাচার্য এবং সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য।
পিস ওয়ার্ল্ডের ভিতরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে অনুগামীরা এভাবেই ভিড় করেছেন।
‘সেদিনই মনে হয়েছিল আমি তাঁর চেয়ে খাঁটি বামপন্থী।’ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর কথা স্মরণ করতে গিয়ে এমনই লিখলেন বিতর্কিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। বিস্তারিত পড়ুন: “আমি বুদ্ধদেবের চেয়ে খাঁটি বামপন্থী”, স্মরণে ঝরল তসলিমার অভিমান
বৃহস্পতিবার প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর মরদেহ শায়িত আছে তপসিয়ায় পিস ওয়ার্ল্ডে। তার সামনে গতকাল রাত থেকে মোতায়েন আছে পুলিশ। সকালে ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে। একে একে পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত হচ্ছেন। আজ সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে বিধানসভায়, আলিমুদ্দিনে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে বিধানসভার যে জায়গায় শ্রদ্ধা জানানো হয়েছিল, আজ শুক্রবার আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেও সেখানেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করা হবে। বিস্তারিত পড়ুন: ‘লাল, লাল, লাল সেলাম…’ বুদ্ধবাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে লাল ঝান্ডায় ঢেকেছে আলিমুদ্দিন-ডিওয়াইএফআই অফিস চত্বর
পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট থেকে বেরোনোর আগে তাঁর মরদেহের চক্ষু থেকে কর্নিয়া সংগ্রহের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়েছে পরিকল্পনা মতো।
পিস ওয়ার্ল্ডে পৌঁছেছেন বুদ্ধবাবুর মরদেহ। আজ সেখানেই শায়িত থাকবেন তিনি।
বাড়ি থেকে বের করা হল বুদ্ধবাবুর মরদেহ। শেষবারের মতো পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে বেরলেন তিনি। দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পিস ওয়ার্ল্ডে। পিছু পিছু যাচ্ছে তাঁর সাধের সাদা অ্যাম্বাসেডরও।
বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Saddened by the passing of Shri Buddhadeb Bhattacharjee, former CM of West Bengal. He was a political stalwart who served the state with commitment. My heartfelt condolences to his family and supporters. Om Shanti.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 8, 2024
মমতা: ব্যক্তিগত অনেক কথা রয়েছে, আজ বলার দিন নয়। আমি যখন আসতাম, যখন ভালো ছিলেন, অনেক কথা বলতেন, সেগুলো ব্যক্তিগত লেভেলের, সেগুলো বাইরে আনতে চাই না। আমার সঙ্গে দেখা হয়েছে সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়ে গোপালগান্ধী যখন রাজ্যপাল ছিলেন, একটা সুন্দর পরিবেশে আলোচনা হয়েছিল। গোপালগান্ধী জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘বলুন তো ভরা থাক গানটার অন্তরা কী?’ এই ঘটনাগুলো আমার মনে পড়ে। ৯২তে যখন দাঙ্গা হয়, আমি ছুটে গিয়েছিলাম মহাকরণে, কোনও সাহায্যের যদি দরকার পড়ে। রাজ্যে যখনই কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে শান্তি বজায়ের জন্য দরকার সবসময় করেছি।
পাম অ্যাভিনিউটে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ সরকারকে সারাক্ষণ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা গোটা বিষয়টি দেখে রাখবেন। যখন দলের তরফ থেকে মিছিল করে নিয়ে যাওয়া হবে, তখন যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেটা দেখার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী ফিরহাদ-অরূপের ওপর দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই খবরটা যখন আমি শুনলাম, এতটাই টেনস্ড হয়ে গিয়েছিলাম, কীরকম একটা লাগছিল, আমার হাতটা ঘষে যায়। পুরো গল গল করে রক্ত বেরিয়েছে।”
শোকস্তব্ধ মমতা: বুদ্ধবাবু পার্থিব জগৎ থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু মানুষের জগতে বিচরণ করবেন। একজন মানুষ মরে গেলে, তিনি চলে যান, এমন নয়, তিনি বেঁচে থাকেন মানুষের মধ্যে তাঁর কাজের মাধ্যমে। তাঁর আত্মা শান্তি পাক। বারবার তিনি ফিরে আসুন এই বাংলার মাটিতেই।
মমতা আরও বলেন, “অনেকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। এটাই বড় প্রাপ্য ছিল। ওঁর মৃত্যুর বয়স হয়তো হয়নি। কিন্তু যেহেতু ওঁর একটা সমস্যা ছিল, শ্বাসকষ্ট হত, আজ সকালেও বৌদি বললেন, ব্রেক ফাস্ট করেছেন, তারপরই শ্বাসকষ্ট হয়ে হঠাৎ চলে যান।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সাড়ে বারোটার সময়ে দেহ পিস ওয়ার্ল্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর পার্টি যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। দেহ দান করা রয়েছে। আগামিকাল সসম্নানে রাষ্ট্রীয় সম্মানের সঙ্গে আমরা তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে চাই গান স্যালুটের মাধ্যমে। আমি রবীন দেবকে বলেছি, দলের সঙ্গে কথা বলতে, পিস ওয়ার্ল্ডে না রেখে পরে যদি রবীন্দ্রসদনে, নন্দনে রাখতে পারেন। তাহলে অনেক মানুষ দেখতে পাবেন তাঁকে শেষ দেখা। বিধানসভাতেও নিয়ে যেতে বলেছি। স্পিকার সাহেবও ফোন করেছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন বিধানসভার জনপ্রতিনিধি ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, লিডার অফ দ্য হাউজ়। তাছাড়াও অনেক দফতরের মন্ত্রী ছিলেন দীর্ঘদিন। ওঁর চলে যাওয়া রাজ্যের ক্ষতি। অনেকবার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে।”
বুদ্ধবাবুর বাড়িতে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজিপি, উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।আজ পূর্ণ দিবস ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
কালীঘাটে বাড়ি থেকে বেরোলের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছবেন বুদ্ধবাবুর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে।
পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “বুদ্ধমামার সততা রাজনীতির দৃষ্টান্ত। একজন একজন করে চলে যাওয়া মানে, সেই ইতিহাসটাও যেন মুছে যায়। রাজনীতি মানেই চুরি নয়, রাজনীতি মানেই অস্বচ্ছতা নয়, বুদ্ধমামা নিজে এটা প্রমাণ করে দিয়ে গিয়েছেন। আমার তো ব্যক্তিগত ক্ষতি। আমার গোটা ছোটবেলাটায় নানারকম স্মৃতি রয়েছে। আমার বিভিন্ন পার্সোনাল ক্রাইসিসে বুদ্ধমামাকে পাশে পেয়েছি।”
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু শোকস্তব্ধ। কথাই বলতে পারছেন না তিনি। তিনি বলেন, “আমি শুনেছি ভীষণ ভীষণ ক্রিটিক্যাল। আমি তখন সবে ঘুম থেকে উঠেছি, তখনই ফোন আসে। দীর্ঘদিন মানুষের স্বার্থে কাজ করেছেন। ক্ষতি হয়ে গেল। বন্ধু চলে গেলে ক্ষতি হয় না!”
সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ” ওঁ ভীষণ সিগারেট খেতেন। সেটা আমি লক্ষ্য করেছি। এত সিগারেট খাওয়াটা আমার খুব একটা পছন্দ হত না। আমি দেখেছিলাম, হাতটা একটু কাঁপচ্ছে। ইচ্ছা ছিল বলি, যে এত সিগারেট খাবেন না, কিন্তু সেটা বলতে সাহস পায়নি। তারপর দেখলাম সিওপিডি-তে ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। আপাদমস্তক একজন বাঙালি ভদ্রলোক। অত্যন্ত সৎ মানুষ।”
বুদ্ধবাবুর প্রয়ানে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Shocked and saddened by the sudden demise of the former Chief Minister Sri Buddhadeb Bhattacharjee. I have been knowing him for last several decades, and visited him a few times when he was ill and effectively confined to home in the last few years.
My very sincere condolences…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 8, 2024
সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, “আজ আমরা তাঁর দেহ সংরক্ষণ করব। বৌদির সঙ্গে কথা হয়েছে, দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের পার্টির সিদ্ধান্ত। এখানে আরও কিছুক্ষণ থাকবেন। আশপাশের প্রতিবেশীরা, আত্মীয়রা এখানে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাবেন। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ এখান থেকে নিয়ে গিয়ে দেহ সংরক্ষণ করা হবে। দিল্লি থেকে অন্যান্য রাজ্য থেকে অনেকে আসবেন, তাঁদের জন্যই দেহ আমাদের সংরক্ষিত রাখতে হবে। যে দফতর থেকে তিনি কাজ করেছেন, অসুস্থ হওয়ার আগে পর্যন্ত, সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপরও কিছু সাধারণ কাজ রয়েছে। কাল বিকাল চারটে নাগাদ আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে শেষ যাত্রা হবে। দেহ দান করা ছিল, আমরা যোগাযোগ করছি। তাঁর শেষ ইচ্ছামতো, দেহ চিকিৎসাবিজ্ঞানে গবেষণার জন্য দান করা হবে।”
সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “বুদ্ধদা বারবার অসুস্থ হয়েও ফিরে আসতেন। আমাদের স্থির বিশ্বাস হলেও বুদ্ধদা এবারও সুস্থ হয়ে উঠবেন। তিনি আজ সকালে চলে গেলেন, মেনে নিতে পারছি না। বুদ্ধদার মন্ত্রিসভায় ছিলাম, এটাই বিষয় নয়, আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমাদের বাড়ি এসে থাকতেন। অনেক সময় ভুল হলে ভীষণ বকেছেন। বাংলার বিরাট ক্ষতি, তা আর পূরণ করা যাবে না।”
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “খুব খারাপ লাগছে। রাজনীতিগতভাবে মত আলাদা ছিল। সাংবাদিক হিসাবে বিরোধিতা করেছি, তৃণমূল নেতা হিসাবে বিরোধিতা করেছি। জমি ইস্যু নিয়ে বিরোধিতা করেছি। সাংবাদিক হিসাবে আমি তাঁর যা স্নেহ পেয়েছি, আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। এমন মানুষ, যিনি জানেন আমি তাঁর সমালোচক, তারপরও কখনও প্লেনে যেতে যেতে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন, কখনও রাজস্থানের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ব্রেক ফাস্টে যাচ্ছেন, সেখানে সাংবাদিক হিসাবে আমাকে একা রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়া যাচ্ছে, এই প্রশ্রয় কখনও ভুলতে পারব না।”
শোকস্তব্ধ বাংলা। নস্ট্যালজিক কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ” দীর্ঘদিন আমরা একসঙ্গেই ছিলাম, একই কমপ্লেক্সে বাস করছি। তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রী, তার আগে যখন তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী ছিলেন, একসঙ্গে থেকেছি। এত দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকাতেও কোনও দিন বিরোধ হয়নি। আমি বাংলা বনধের ডাক দিয়েছি, তিনি বনধের বিরোধিতায়। কিন্তু রাজনীতি কখনও আমাদের বাসার জায়গায় আসেনি।”
২০০০-২০১১ সাল-টানা ১১ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০২১ সালে মে মাসে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর থেকে দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল ৮.২০ মিনিটে পাম অ্যাভিনিউতে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে নাগাদ নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গত বছর ৯ অগস্ট শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসকদের আপ্রাণ প্রয়াসে সুস্থ হয়ে ওঠেন। বাড়িতে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। গতকাল থেকেই নতুন করে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।