
হুগলি: সোমবার নিউ টাউনে দুর্গাঙ্গনের শিলান্যাস করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী জানুয়ারিতেই উত্তরবঙ্গে মহাকাল মন্দিরের শিলান্যাস করবেন বলে ঘোষণা করেছেন। ভোটের আগে মন্দির-মসজিদ নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে চর্চা কম হচ্ছে না। এরই মধ্যে মুখ খুললেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী। তাঁর দাবি, মন্দির হোক, গীর্জা হোক, কিন্তু মসজিদও হোক। শুধু তাই নয়, মন্দির গড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল করছেন বলেও দাবি করেছেন পীরজাদা।
দুর্গাঙ্গনের শিলান্যাসের পর পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী বলেন, যে আশা নিয়ে হিন্দুদের জন্য মন্দির করে যাচ্ছেন, সেটা সফল হবে না। তাঁর মতে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন, তাতে মন্দির-মসজিদ করার তাঁর দরকার ছিল না। কিন্তু হিন্দু ভোট যেগুলো এদিক-ওদিক হয়ে গিয়েছে, তা বাড়াতে চাইছেন।”
ত্বহা বলেন, “দুর্গাঙ্গন হচ্ছে। জগন্নাথ মন্দির হয়েছে। কোনও হিন্দু ভাই কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্দির করতে বলেননি। কিন্তু আমরা সংখ্যালঘুরা মসজিদ চেয়েছিলাম। সেটা কেন হবে না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবছেন, মন্দির করে হিন্দুদের মন জয় করবেন, যে ভোট তাঁর থেকে চলে গিয়েছে, সেগুলো ফিরে আসবে। সেটা মনে হয় ভুল করছেন তিনি। অন্যদিকে সংখ্যালঘুরাও এই বিষয়টায় ক্ষিপ্ত হয়ে আছে।”
ত্বহা সিদ্দিকী উল্লেখ করেছেন, হিডকোতে একটা মসজিদ গড়ার কথা বলেছিলেন তিনি। কারণ সেখানে বহু উচ্চশিক্ষিত ছেলেমেয়ের বাস হওয়া সত্ত্বেও নমাজ পড়ার জন্য মসজিদ নেই বলে দাবি পীরজাদার। ওয়াকফের টাকায় সেই মন্দির করা গেল না কেন! সেই প্রশ্ন তুলেছেন ত্বহা। তাঁর দাবি, ১৩টি মন্দির হয়ে গেল, অথচ বলা সত্ত্বেও মসজিদ তৈরি করা গেল না।