Kasba Case: ফিরিয়ে দিয়েছিল বিয়ের প্রস্তাব, ক্ষেপে গিয়ে গায়ের জোরে TMC নেতা ছাত্রীকে ঢুকিয়েছিল গার্ডের রুমে, তারপর…
Kasba Case: এরপর ছাত্রীকে কলেজের মেইন গেট লাগোয়া নিরাপত্তারক্ষীর ঘরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে সেই তৃণমূল নেতা, এমনটাই অভিযোগ। বাইরেই অসহায় অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকে কলেজে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষী।

কলকাতা: মিনিটের বদলে যায় পৃথিবীটা। নির্যাতিতা ভেবেও পাননি একটা প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার ফল এতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। কসবা-কাণ্ডে নয়া মোড়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ওই নির্যাতিত ছাত্রীকে কলেজে ডেকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মূল অভিযুক্ত তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ও আইন কলেজের অস্থায়ী কর্মী।
পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, সেদিন সন্ধ্যায় কলেজের ইউনিয়ন রুমে তাকে ডেকে নিয়ে আসে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। সেই সময় রুমেই তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আরও দুই অভিযুক্ত। জিএস পদে বসানোর টোপ দিয়েই অভিযোগকারীকে কলেজে টেনে আনে সে। এরপর সেখানেই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সেই তৃণমূল নেতা। কিন্তু তা ফিরিয়ে দেন ওই অভিযোগকারী।
মুখে উপর না বলতেই চটে যায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। পরিস্থিতি গম্ভীর বুঝেই ইউনিয়ন রুম থেকে ছুটে বেরিয়ে যান সেই কলেজ ছাত্রী। কিন্তু তখনই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় কলেজের মেইন গেট। এরপর ছাত্রীকে কলেজের মেইন গেট লাগোয়া নিরাপত্তারক্ষীর ঘরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে সেই তৃণমূল নেতা, এমনটাই অভিযোগ। বাইরেই অসহায় অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকে কলেজে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষী।
ইতিমধ্যেই সেই নিরপত্তারক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কসবা থানার পুলিশ। রেকর্ড করা হয়েছে তার বয়ান। নির্যাতিতা যাতে ধর্ষণের বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খোলেন, নিজেদের সেই ‘নিরাপত্তা’ বজায় রাখতে তাকে রীতিমতো হুমকি দেয় ওই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তার বাবা-মাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, এই নির্যাতিতা আবার সেই আইন কলেজেরই গার্লস সেক্রেটারি। এই পদ তিনি পেয়েছিলেন খোদ ওই অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতার থেকে।

