Gopal Patha’s Statue: কলকাতায় উন্মোচিত হল গোপাল পাঁঠার মূর্তি, শুভেন্দু মনে করালেন ‘হিন্দু ঐক্যের’ কথা

Gopal Patha's Statue: স্মৃতির পাতা উল্টে শুভেন্দু বলেন, “আসলে মহম্মদ আলী জিন্না কলকাতা-সহ অবিভক্ত বাংলা চেয়েছিলেন। অবিভক্ত বাংলায় তখন ৫৫ শতাংশ ছিল মুসলমান, ৪৫ শতাংশ ছিল হিন্দু। তাই কলকাতাতে হিন্দুদের একদম নির্মূল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে দ্য গ্রেট ক্যালক্যাটা কিলিং সংগঠিত হয়েছিল ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে হিসাবে।”

Gopal Pathas Statue: কলকাতায় উন্মোচিত হল গোপাল পাঁঠার মূর্তি, শুভেন্দু মনে করালেন ‘হিন্দু ঐক্যের’ কথা
মুর্তি উন্মোচনে শুভেন্দু Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 16, 2025 | 7:32 PM

কলকাতা: ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসে’ নিহতদের স্মরণে পথে নামলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। করলেন মিছিল। উঠল ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে-র প্রসঙ্গ। উঠল জয় শ্রীরাম স্লোগান। আলিপুরে উন্মোচন করলেন গোপাল মুখোুাধ্যায়ের মূর্তি। মনে করালেন ফেলে আসা ইতিহাসের কথা। এই গোপাল মুখোপাধ্যায়, ছেল্লিশের হিংসা, ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে নিয়ে আস্ত একটা ছবি বানিয়ে ফেলেছেন ‘কাশ্মীর ফাইলস’ খ্যাত পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। এদিন তা নিয়েও কথা বললেন শুভেন্দু। বললেন, “দেরিতে হলেও আজ দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং ডে সামনে এসেছে। বিবেক অগ্নিহোত্রীরা আজ বেঙ্গল ফাইলসের ট্রেলার আজ লঞ্চ করেছেন।”

ছেল্লিশের হিংসার ভয়াবহতার কথা মনে করিয়ে মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, “সেদিন কোনও হিন্দু বাদ যায়নি, অভিনেতা ছবি বিশ্বাস থেকে গণিতজ্ঞ যাদব চক্রবর্তী, গড়পার থানার হিন্দু পুলিশ থেকে রিপন কলেজের হিন্দু ছাত্র, ধর্মতলা রোডের বিখ্যাত কমলালয় স্টোর্স থেকে লোয়ার সার্কুলার রোডের লক্ষ্মীকান্ত দাসের সাইকেলের দোকান, রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিটের সমস্ত হিন্দু বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পলাশির যুদ্ধের থেকেও বেশি হিন্দুদের মৃত্যু হয় ওই দিন।” তুলে আনে জিন্নার প্রসঙ্গ। 

শুভেন্দু বলেন, “আসলে মহম্মদ আলী জিন্না কলকাতা-সহ অবিভক্ত বাংলা চেয়েছিলেন। অবিভক্ত বাংলায় তখন ৫৫ শতাংশ ছিল মুসলমান, ৪৫ শতাংশ ছিল হিন্দু। তাই কলকাতাতে হিন্দুদের একদম নির্মূল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে দ্য গ্রেট ক্যালক্যাটা কিলিং সংগঠিত হয়েছিল ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে হিসাবে।” এরপরই গোপাল মুখোপাধ্যায়কে স্মরণ করে সেই সময় হিন্দু নিধনের মাঝেও কীভাবে তার প্রতিরোধ হয়েছিল সেই গল্প বলেন। কীভাবে সকলে কাঁধে কাঁধ নিলিয়ে দুষ্কৃতীদের ঠেকিয়েছিল সে কথা বলেন। ইতিহাসের পাতায় ফিরে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “ছোট্ট হলেও মর্যাদার সঙ্গে এদিন গোপাল মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। গোপাল মুখোপাধ্যায় সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু আপামর হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। জুটমিলে কাজ করতে আসা মজদুরের কাজ করতে আসা বিহারিরাও ছিল। সেদিন কিন্তু হিন্দি ও বাংলা ভাষা বলা লোকেরা একসঙ্গে লড়েছিল। সেদিন শিখ সমাজ গোপাল মুখোপাধ্যায়কে সঙ্গ দিয়েছে।”