
হাকিমপুর: সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের পুশব্যাক এবং বর্তমানে হাকিমপুর সীমান্তের কী অবস্থা তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করা হবে। হাকিমপুর সীমান্ত পরিদর্শনের পর একথা জানালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শুধু হাকিমপুর নয় মুর্শিদাবাদেও যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যে সীমান্তগুলি তিনি ঘুরে দেখবেন, সেখানকার পরিস্থিতি দেখে তৈরি করা হবে রিপোর্ট। এই রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে তিনি জমা করবেন।
তিনি এদিন হাকিমপুর চেকপোস্টে নেমে ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তারপর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের অংশে বিএসএফের তাৎপরতা এবং নজরদারি পরিদর্শনে যান। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাকিমপুর সীমান্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসএফের ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বিএসএফ সূত্রে খবর, কতজন বাংলাদেশিকে এখনও পর্যন্ত ওপারে পাঠানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলার দিক থেকে কতটা পুলিশ সাহায্য করছে, কীভাবে বাংলাদেশিরা গিয়ে হোল্ডিং এরিয়ায় কাছে ভিড় করছে, তাদের কতদিনের বসবাস- এই ধরনের একাধিক বিষয় রাজ্যপাল বিএসএফ আধিকারিকদের কাছ থেকে জেনে নেন।
এরপর রাজ্যপাল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমি বিভিন্ন সীমান্ত পরিদর্শন করব। এদিনও হাকিমপুরে এসে সীমান্ত ঘুরে দেখেছি। ভারতে কোন অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই নেই। ভারত সরকার কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিএসএফ যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে।” বিএসএফ বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিরুদ্ধে যে ব্যর্থতার অভিযোগ করা হয়, তাদেরকে রাজ্যপালের বার্তা, “এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভারত সরকারের বিষয়। তাই এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত।”
পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জবাব দেন রাজ্যপাল। রাজভবনে তল্লাশি-কাণ্ডের কথা উদ্ধৃত করে রাজ্যপাল বলেন, “এসআইআর নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। ভুল পথে চালিত করা হচ্ছে। যেমন একজন সাংসদ রাজভবন নিয়ে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য সরিয়েছিল। তারপরও পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থা এসে দেখে গিয়েছে রাজভবনে কিছুই নেই।”