Hindi Language: ‘হিন্দি রাষ্ট্রীয় ভাষা, ইংরেজি দাই মা’, বললেন দক্ষিণী আনন্দ

CV Ananda Bose: রাজ্যপালকে ‘মিথ্যাবাদী, প্রতারক’ বলছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। তাঁর সাফ কথা, “রাজ্যপালের পদ সাংবিধানিক পদ। রাজ্যপালের পদে বসে এই নির্লিজ্জ মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ভারতবর্ষের সংবিধানে কোনও রাষ্ট্রভাষা বলে শব্দ নেই।”

Hindi Language: ‘হিন্দি রাষ্ট্রীয় ভাষা, ইংরেজি দাই মা’, বললেন দক্ষিণী আনন্দ
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 07, 2025 | 4:24 PM

কলকাতা: তিনি এলেন। ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের মঞ্চে দাঁড়িয়ে হিন্দিকে তিনি বললেন রাষ্ট্রভাষা। তাঁর উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল-সিপিএম। সঙ্গে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বলার জন্য রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপও দাগলেন তৃণমূল নেতারা। তবে এদিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালের মুখে শোনা গেল গীতা থেকে মহাভারতের কথা। শোনা গেল মুর্শিদাবাদ প্রসঙ্গ। ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে চড়ালেন সুর। তা নিয়েও পুরোদমে তৈরি হল বিতর্ক। 

বক্তব্য রাখতে উঠে শুরুতেই বললেন, “আমি হিন্দিতে কথা বলার চেষ্টা করব। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। হিন্দি আমাদের রাষ্ট্র ভাষা। রাষ্ট্র ভাষা মা হয়। ইংরেজি দাই মা। দাই মা কখনওই মায়ের মতো হয় না।” এরপরই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি রাম, বিষ্ণু, মহাদেবের কাছে প্রার্থনা করব। টেনে আনেন মুর্শিদাবাদের প্রসঙ্গ। বলেন, “কাল আমরা মুর্শিদাবাদে কিছু দেখেছি। এরপরেই বলেন, আমি বলছি পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্ । ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।” 

যদিও রাজ্যপালকে ‘মিথ্যাবাদী, প্রতারক’ বলছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। তাঁর সাফ কথা, “রাজ্যপালের পদ সাংবিধানিক পদ। রাজ্যপালের পদে বসে এই নির্লজ্জ মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ভারতবর্ষের সংবিধানে কোনও রাষ্ট্রভাষা বলে শব্দ নেই। সংবিধানে ভারতবর্ষে প্রতিটা ভাষার সমান অধিকার রয়েছে। যাঁরা রাষ্ট্রভাষা বলে হিন্দিকে চাপিয়ে দিতে চায় তাঁরা হিন্দি সাম্রজ্যবাদের দালাল। রাজ্যপালও তাই। হিন্দি-ইংরাজি এখানে অফিসিয়াল কমিউনিকেশন ল্যাঙ্গুয়েজ।” এরপরই আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে বললেন, “রাজ্যপাল আসলে একজন মিথ্যাবাদী, প্রতারক। উনি যখন জ্ঞানের বাণী দেন তখন বুঝতে হবে রামরাজ্য নয়, ওরা দানবের রাজত্ব চাইছে।”   

প্রসঙ্গত, হিন্দি ভাষা বিতর্ক নিয়ে সাম্প্রতিককালে একাধিকবার বিতর্ক দানা বেঁধেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এক মন্তব্যে ঝড়ে ওঠে দক্ষিণ ভারতে। সেই সময় স্ট্যালিন-সহ দক্ষিণ ভারতের একাধিক নেতারা সরবও হয়েছিলেন। সরব হয়েছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সেই কেরল থেকেই এসেছেন এই সিভি আনন্দ বোস।