CV Ananda Bose: কারণ দর্শাতে না পারলে বন্ধ হবে রাজভবনে ঢোকা! ‘অনুপস্থিত’ উপাচার্যদের উপর রাজ্যপালের ‘খাড়া’

CV Ananda Bose: বৈঠকে রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের মধ্য়ে ৭ জন উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, ১৯জন স্থায়ী উপচার্যদের মধ্যে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এসেছিলেন। বাদ বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন।

CV Ananda Bose: কারণ দর্শাতে না পারলে বন্ধ হবে রাজভবনে ঢোকা! অনুপস্থিত উপাচার্যদের উপর রাজ্যপালের খাড়া
Image Credit source: X

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Jul 26, 2025 | 9:44 PM

কলকাতা: উপাচার্যদের জন্য বন্ধ রাজভবনের দরজা। শনির বৈঠকে হাজিরা না দেওয়া উপাচার্যদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। যেতে পারেন সুপ্রিম কোর্টেও। কিন্তু হঠাৎ করেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মাথায় কেন খাড়া নামালেন আচার্য?

শনিবার রাজ্য়ের স্থায়ী-অস্থায়ী উপাচার্যদের রাজভবনে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ডাকা হয়েছিল রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদেরও। যা ঘিরেই এখন তুমুল তর্ক-বিতর্ক শিল্পমহলে। অবশ্য, এই বৈঠক কী বিষয়ে তা কোনও ভাবেই জানা যায়নি। সূত্রের খবর, উপাচার্যদের পাঠানো চিঠিতেও বৈঠক প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়নি।

জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ডাকা হয়েছিল। তবে উপস্থিতি ১০০ শতাংশ যায়নি। আর তাতেই ক্ষোভ। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের মধ্য়ে ৭ জন উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, ১৯জন স্থায়ী উপচার্যদের মধ্যে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এসেছিলেন। বাদ বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন।

এরপরেই কড়া সিভি আনন্দ। গরহাজির উপাচার্যদের কাছে ইতিমধ্যে ‘এক্সপ্ল্যানেশন’ চাওয়া হয়েছে রাজভবন তরফে। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সন্তোষজনক কারণ দর্শাতে না পারলে তাদের রাজভবনে ঢোকা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমনকি, এক্সপ্ল্যানেশন না জমা দেওয়া পর্যন্ত এই সকল অনুপস্থিত উপাচার্যদের জন্য রাজভবনের দুয়ার বন্ধ। এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে উপাচার্যরা কার কথা মেনে চলবে, আচার্য না রাজ্য সরকার? সেই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টেও দ্বারস্থ হতে চলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যা ফের একবার উস্কে দিতে পারে রাজ্য-রাজ্য়পাল সংঘাতকে।

কিন্তু কী নিয়ে ছিল এই বৈঠক?

সোমে রাজ্যের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আর তার আগেই এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে শিক্ষামহল। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আইন মেনে দ্রুত স্থায়ী পদে কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি, শিক্ষকদের পদোন্নতিকেও যেন আটকে রাখা না হয়, সেই বিষয়েও আইনী ভাবে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।