AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Governor Defamation Case: ‘মহিলাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী’, রাজ্যপালের প্রশ্ন ‘কে সেই মহিলা?’, জবাব দিলেন সায়ন্তিকাও

Governor Defamation Case: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সহ বিভিন্ন বিল নিয়ে রাজ্য এবং রাজ্যপালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই মতানৈক্য আছে। তারই মধ্যে এই ধরনের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিদ্বেষমূলক বলে দাবি রাজ্যপালের।

Governor Defamation Case: 'মহিলাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী', রাজ্যপালের প্রশ্ন 'কে  সেই মহিলা?', জবাব দিলেন সায়ন্তিকাও
রাজ্যপালের মানহানির মামলার শুনানিImage Credit: GFX- TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2024 | 2:10 PM
Share

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের করা মানহানির মামলায় শেষ হল শুনানি। সোমবার সব পক্ষ সওয়াল করে বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের বেঞ্চে। মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূল নেতারা সম্মানহানিকর মন্তব্য থেকে বিরত থাকুক, আদালতের কাছে এই আর্জি জানিয়ে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সওয়াল করেন, ‘রাজ্যপালের সম্মানহানি হয়, এমন কোন মন্তব্য করা হয়নি।” শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। এই মামলায় বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাও সোমবার সওয়াল করেন।

মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এদিন বলেন, “যদি সম্মানহানিই না হয়ে থাকে, তাহলে আদালতের অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করার কোনও প্রয়োজন নেই।” তিনি উল্লেখ করেন, একজন জন প্রতিনিধি হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করছেন যে তিনি রাজ্যপালের জন্য, তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। আইনজীবীর প্রশ্ন, এতে কীভাবে সম্মানহানি হয়? মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, রাজভবনে যে ঘটনা ঘটেছে বলে মূল অভিযোগ, সেটা ইতিমধ্যেই মানুষের সামনে এসেছে, কিন্তু সেটা নিয়ে রাজ্যপাল কোনও চ্যালেঞ্জ করেননি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি মহিলাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন যে তারা রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছে। এমনই সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী। বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, কেন রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন তিনি। তাঁর আইনজীবী এদিন জানান, রাজভবনের এক মহিলার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে পেরেছেন। সেই কারণেই তিনি একজন মহিলা হিসেবে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

রাজ্যপালের আইনজীবী বলেন, “সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে চিঠি লিখে জানাতে পারতেন যে তিনি রাজভবনে আসতে ভয় পাচ্ছেন, সেটা তিনি করেননি।” রাজ্যপালের আরও প্রশ্ন, “সবাই বলছেন যে তাঁরা বিভিন্ন ব্যক্তি বা মহিলাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন, তাই তাঁরা রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু সেই বিভিন্ন ব্যক্তি বা মহিলা কে বা কারা? আসলে কেউ নেই।” কুণাল ঘোষের দাবি, তিনি এমন কোনও মন্তব্য করেননি যাতে রাজ্যপালের মানহানি হয়।