কলকাতা: একজন জুনিয়র ডাক্তার। অন্যজন পাঁচ বছরের শিশু। কিন্তু দু’জনই ধর্ষণ ও খুনের শিকার। শুক্রবার বিচার পেয়েছে গড়ফার নির্যাতিতা শিশুর পরিবার। অন্যদিকে, শনিবার বিচার পেয়েছে তিলোত্তমার মা-বাবা। দুই ঘটনাতেই অপরাধীদের দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। এ দিন, টিভি ৯ বাংলার উদ্যোগে দুই নির্যাতিতার মা ফোনে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন। তখনই গুড়াপের নির্যাতিতা শিশুর মা তিলোত্তমার মা-কে আশ্বস্ত করে বলেন, “ভরসা রাখুন, আমরা বিচার পেয়েছি”
গুড়াপের মৃত শিশুকন্যার মা বলেন, “পুলিশের উপর ভরসা রেখে আমার কাজ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবাই পাশে ছিল।” তারপর তিনি তিলোত্তমার মায়ের উদ্দেশ্যে বলেন,”আমার তো পাঁচ বছরের বাচ্চা। আমাদের যদি এতটা কষ্ট হয়… আপনারা পড়াশোনা করিয়েছেন। ডাক্তার বানিয়েছেন। বুঝতে পারছি আপনাদের কতটা কষ্ট হচ্ছে। যাঁরা অন্যায় করেছে তারা যেন শাস্তি পায়। তাঁদের ফাঁসি প্রয়োজন।” অপরদিকে, তিলোত্তমার মা-কে বলতে শোনা যায়, “যন্ত্রণা একই। বলার কোনও ভাষা নেই। কী বলব…. আমি যেমন কন্যাহারা হয়েছি। তেমন যেন আর কেউ কন্যাহারা না হয়> এই লড়াই চালাতে হবে।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার হুগলির গুড়াপে শিশু কন্যার ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে অভিযুক্ত অশোক সিং-কে ৫২ দিনের মাথায় দোষী সাব্যস্ত করে চুঁচুড়া পকসো আদালত। আগামী ১৭ তারিখ হতে চলেছে সাজা ঘোষণা। ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের ২৪ নভেম্বর। অভিযোগ ছিল, পাঁচ বছরের ওই শিশু কন্যাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী অশোক। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, আরজি-করে ডিউটিরত চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শনিবার দোষী সাব্যস্ত হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাই। তার সাজা ২০ জানুয়ারি শোনাবে শিয়ালদ কোর্ট।