Haridevpur: পুকুরে ভাসছে চিকিৎসকের দেহ, প্রতিবেশীদের বয়ান শুনে স্ত্রীকে আটক করল পুলিশ
Haridevpur: পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীয়ের সম্পর্ক ভাল ছিল না। মাঝেমধ্যেই বাড়িতে অশান্তি হত। প্রতিবেশীরাও সে কথা জানতেন। আদতে গত কয়েক বছরে ওই চিকিৎসকের আয় অনেকটাই কমে গিয়েছিল।
কলকাতা: পুকুর থেকে এক চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরের শিলপাড়া রামচন্দ্রপল্লি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শৈলেন কুণ্ডু। তিনি দাঁতের চিকিৎসক (৬০)। কিন্তু সেভাবে গত কয়েক বছরে তাঁর আয় ছিল না। ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনা রহস্য দানা বেঁধেছে। আদৌ এটি খুন নাকি আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীয়ের সম্পর্ক ভাল ছিল না। মাঝেমধ্যেই বাড়িতে অশান্তি হত। প্রতিবেশীরাও সে কথা জানতেন। আদতে গত কয়েক বছরে ওই চিকিৎসকের আয় অনেকটাই কমে গিয়েছিল। ফলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যায়। আর সেই অনটন নিয়েই স্ত্রী তাঁর সঙ্গে নিত্য অশান্তি করতেন বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। এমনকি মারধরও করতেন বলে অভিযোগ।
মাঝে এক-দু’বার প্রতিবেশীদের কাছে সে কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসক। প্রতিবেশীরা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছিলেন।
শুক্রবার সকালে এলাকারই একটি পুকুরে দেহ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথমে দূর থেকে তাঁরা বুঝতে না পারলেও, ভাল করে দেখে তাঁরা শনাক্ত করেন। পরে খবর দেওয়া হয় হরিদেবপুর থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্ত্রীই তাঁকে খুন করে রাতে দেহ পুকুরে ফেলে দিয়েছে। এই ঘটনায় হরিদেবপুর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্ত্রীকে আটক করেছে।