HC On SLST Recruitment: এসএলএসটি নিয়োগেও দুর্নীতি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

HC On SLST Recruitment: ২০১৬-র নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর্থিক লেনদেনে বেনিয়ম থাকলে, খুঁজে বার করুক সিবিআই। স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

HC On SLST Recruitment: এসএলএসটি নিয়োগেও দুর্নীতি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
মালদহ বিস্ফোরণে দায়ের মামলা। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2022 | 2:30 PM

কলকাতা: এসএলএসটি নিয়োগেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ২০১৬-র নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর্থিক লেনদেনে বেনিয়ম থাকলে, খুঁজে বার করুক সিবিআই। স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি ছিল, সেখানে আজাদ আলি মির্জা ও আরও একজনের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তাঁদের নাম কোনওরকমভাবেই তালিকায় ছিল না। প্রথমে যখন আদালতে এই মামলাটি ওঠে, তখন প্রাথমিকভাবে এসএলএসটির কাছ থেকে একটি রিপোর্ট চাওয়া হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দেখেন যে, ৪ জানুয়ারি এসএসসির চেয়ারম্যান যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, সেই রিপোর্টে উল্লেখিত তালিকাতেও ২ জন অভিযুক্তের নাম ছিল না। বিচারপতি অত্যন্ত বিরক্ত হন।

এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আপাতত সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টরকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ হল, সিবিআই যেমন এই দুর্নীতির পিছনে কারা রয়েছে, তাদেরকে খুঁজে বার করবে, তেমনি সিবিআই অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলবে এবং এর পিছনে আদৌ কী ঘটনা ঘটেছে, তা খুঁজে বের করবে। আগামী ২৮ মার্চের মধ্য়ে সিবিআইকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

কাদের অঙ্গুলিহেলনে প্রভাবিত চেয়ারম্যানরা? কোন অঙ্গুলিহেলনে বেআইনি কাজ কমিশনে? ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন চালিয়েছেন। সিবিআই তদন্তের নির্দেশে তাঁরা কিছুটা বিচার পাওয়ার আশা দেখছেন। এদিনের রায়ে সেই সকল চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক জয় হল বলেই অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।

আবেদনকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা হাইকোর্ট প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর নিশ্চিত। যে যে অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে, তা আদালত মান্যতা দিয়েছে। অভিযোগ, নিয়োগের পিছনে পুরোপুরি টাকার খেলা চলেছে। ফেল করা প্রার্থীকেও চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে কেবল টাকার বিনিময়ে। তালিকায় যাঁদের নামই নেই, অথবা অনেক নীচের দিকে নাম, তাঁরাও চাকরি পেয়েছেন। আবেদনকারীদের প্রশ্ন, সেটা সম্ভব কীভাবে? অথচ প্রাপ্য নম্বর পেয়েও বঞ্চিত হয়েছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। এসএসসি-র বিরুদ্ধে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।

এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, অভিযোগকারীদের যে বক্তব্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই, আদৌ কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে বার করতে হবে।

আরও পড়ুন: ‘গতকাল কোথায় ছিল পুলিশ?’ বনধের সমর্থনে বেরোতেই গ্রেফতার সজল ঘোষ