কলকাতা: দিন কয়েক আগের কথা। একে অন্যকে তীব্র আক্রমণ করে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে নিয়ে না-খুশ সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan) বলেছিলেন, “আমাদের মাননীয় সভাপতিকে বললেও তিনি অর্ধেকটা বোঝেন, অর্ধেকটা বোঝেন না। বাংলায় বিজেপি যেভাবে চলছে, তাতে ভাল কিছু হবে না।” ছাড়েননি দিলীপ (Dilip Ghosh)। পাল্টা বলেছিলেন, “যার যেমন বোঝার শক্তি সে তেমন বুঝবে। কে কী বোঝে তার অধিকার তো তাঁকে (পড়ুন সৌমিত্র) দেওয়া হয়নি।”
তবে রবিবার ছবিটা ছিল অন্যরকম। বিজেপির রাজ্য কার্যকার্নির বৈঠকে দেখা গেল দিলীপ ও সৌমিত্র বসে পাশাপাশি। একে অন্যের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করতেও দেখা গেল তাঁদের। তাহলে সমস্যা কি মিটল? প্রশ্ন উঠলই। তবে বৈঠক শেষে সৌমিত্র সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করায় এড়ালেন না দিলীপও। বিষ্ণুপুরের সাংসদকে ‘ইমোশনাল’ বলেই স্মিত হাসলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। দিলীপের কথায়, ‘ও আজ দেখা করেছে। সৌমিত্র একটু ইমোশনাল, একটু বেশি বলার অভ্যাস রয়েছে ওর।’ তার পরেই একটু মুচকি হেসে চলে যান দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ ও সৌমিত্র খাঁয়ের সম্পর্ক যে মধুর নয় তা নিয়ে ঢাক ঢাক গুড় গুড় শোনা যেত। তবে মোদীর মন্ত্রিসভার রদবদলের দিনই বঙ্গ বিজেপিতে তোলপাড় শুরু হয়। সেদিন যেন প্রকাশ্যে দিলীপ-সৌমিত্রের সম্পর্কের সমীকরণ। একে অন্যকে তীব্র নিশানা করেন তাঁরা। সেদিন দিলীপ তো স্পষ্ট বলে দেন, মন্ত্রিত্ব না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন সৌমিত্র।
তবে রবিবার অবশ্য সেই সব সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ও সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র। এদিকে নেতাকর্মিদের উদ্দীপনা বাড়াতে দিলীপকে বলতে শোনা যায়, “আপনাদের সাফল্যের ওপর পার্টির সাফল্য নির্ভর করছে,তাই আপনাদের যোগ্যতা বাড়াতে হবে।”
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ যখন তৃণমূলের খেলা হবে দিবসের পাল্টা ৯ থেকে ১৬ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ সপ্তাহ পালনের ঘোষণা করলেন, তখন এক কদম এগিয়ে সৌমিত্রও বলে দিলেন আন্দোলন কাকে বলে এবার বুঝিয়ে দেব। আগস্ট মাসে নতুন করে আগস্ট বিপ্লবের হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায় বিষ্ণুপুরের সাংসদকে। অবশেষে তাহলে একসুরে বাজলেন দিলীপ-সৌমিত্র? রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব তো তেমনটাই আশা করছেন। আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য ক্ষমা চেয়ে ‘আগস্ট বিপ্লবের’ হুঁশিয়ারি সৌমিত্রের