
কলকাতা: মুখ খুললেই বিতর্ক। বারবার এসেছে দলের শোকজ নোটিস। বারবার সতর্ক করা হলেও সুর বদলায়নি হুমায়ুনের। নিজের সঙ্গে হওয়া বঞ্চনা নিয়ে প্রকাশ্য়েই ‘ক্ষোভ’ উগরে দিয়েছেন, এমনকী দলের লাইন নিয়ে প্রকাশ্যেই সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। কয়েকদিন আগেই দেওয়া হয়েছে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’। ‘কথা না শুনলে’ হুমায়ুনের বিধায়ক পদ সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ করা হতে পারে দলীয় সূত্রে খবর। এবার মুখে খিল ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। স্পষ্ট বললেন, দল না তাড়ালে আপাতত তিনি কোথাও যাচ্ছেন না। তৃণমূলটাই করবেন। যদিও ১৪ জুন দলের তরফে লাস্ট ওয়ার্নিং মেসেজটা পাওয়ার বলেছিলেন, “অন্যায়ের বিরোধিতা আমি করেছি, করব। এর জন্য যা সিদ্ধান্ত নেবে আমি মেনে নেব।”
একইসঙ্গে হুমায়ুন এদিন আরও বললেন, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সম্মানার্থে একুশে জুলাই পর্যন্ত কোনও মন্তব্য তিনি করবেন না। তবে কী এবার কিছুটা আবেগতাড়িত হুমায়ুন? চাপে পড়েই সুর বদল? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, জল মেপেই কথা বলতে চাইছেন হুমায়ুন। সে কারণেই সময় নিতে চাইছেন একুশে জুলাই পর্যন্ত। তবে দলের অন্যান্যদের নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অনেকেই শৃঙ্খলাভঙ্গ করে, কেউ কী শোকজের চিঠি পেয়েছেন? প্রশ্ন হুমায়ুনের।
এদিন টিভি৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে হুমায়ুন বলেন, “একুশে জুলাই অবধি দল আমাকে তাড়িয়ে না দিলে, আমাকে বাধ্য না করে তাহলে আমি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাচ্ছি না। এই দলটাই করব। আর দল যদি বাধ্য করে তখন তো অনেক সময় আছে।” এরপরই খানিক আক্ষেপের সুরেই তাঁর সংযোজন, “অনেকেই তো অনেক সময় শৃঙ্খলাভঙ্গ করে! কিন্তু আমার মতো আট মাসে দুবার শোকজ, একবার ওয়ার্নিং কেউ কী পেয়েছে? কাজেই আমাকে তো চিন্তাভাবনা করেই কথা বলতে হবে।” ঠিক এরপরই তিনি বলেন, “আপনারা যতই প্রশ্ন করুন একুশে জুলাই পর্যন্ত আমি আমাদের নেত্রীর প্রতি, আমাদের সেনাপতির প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে চলব।”