Birupaksha Biswas: কলেজে ভর্তির নামে লক্ষাধিক টাকা নেন বিরূপাক্ষ! অভিযোগে এবার সিলমোহর স্বাস্থ্য ভবনের
Birupaksha Biswas: বিরূপাক্ষ বিশ্বাস বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার। কেন তিনি ৯ তারিখ আরজি করে গিয়েছিলেন, কী করছিলেন ঘটনাস্থলে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর বর্ধমান থেকে সরিয়ে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে পাঠিয়ে দেয় স্বাস্থ্যভবন।
কলকাতা: বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে-র বিরুদ্ধে জমা পড়ল তদন্ত কমিটির রিপোর্ট। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তিলোত্তমা কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্র। চিকিৎসকেরা অভিযোগ তোলেন, কয়েকজন চিকিৎসক পড়ুয়ার আচরণে মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, তটস্থ থাকছেন পড়ুয়ারা। থ্রেট সিন্ডিকেটের অন্যতম মুখ হিসেবে এই দুই চিকিৎসক অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নাম উঠে আসে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য ভবন। সেই রিপোর্টই এবার এল প্রকাশ্যে।
বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে কী উঠে এল তদন্তে?
তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে সিলমোহর দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির নামে মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী দীন মহম্মদের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সাগর দত্ত, তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশের খাতায় বিরুপাক্ষের বিরুদ্ধে চারটি এফআইআর দায়ের হয়েছে।
বিরূপাক্ষ বিশ্বাস বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার। কেন তিনি ৯ তারিখ আরজি করে গিয়েছিলেন, কী করছিলেন ঘটনাস্থলে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর বর্ধমান থেকে সরিয়ে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে পাঠিয়ে দেয় স্বাস্থ্যভবন। বদলির নোটিস জারি হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সেখানকার জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ মানুষও বিক্ষোভ দেখান। এরপরই স্বাস্থ্যভবন সিনিয়র রেসিডেন্ট পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিরূপাক্ষকে।
এদিকে, স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বিপাকে পড়েছেন অভীক দে-ও। গত ৯ অগস্ট তিলোত্তমার দেহ উদ্ধারের দিন আরজি করের ক্রাইম সিনে থাকার কথা অস্বীকার করেননি অভীক দে। ক্রাইম সিনে ‘লাল জামা’ পরিহিত অভীকের উপস্থিতি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সে কথা উল্লেখ করা আছে। অভীক স্বীকার করে বলেছেন, ‘মেডিক্যাল কাউন্সিলের দলের সঙ্গে আরজি কর গিয়েছিলাম।’