KMC: ‘কাজ বেড়েছে, দৈনিক ভাতা ৫০০ থেকে ১০০ হয়েছে’, মেয়র ফিরহাদকে ঘিরে বিক্ষোভ স্বাস্থ্যকর্মীদের

Health workers agitation: বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০১৯ সালে যখন তাঁদের নিযুক্ত করা হয়েছিল, পুজোর সময় অতিরিক্ত কাজ করার জন্য দৈনিক ৫০০ টাকা ভাতা দেওয়া হত। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে কিছু না জানিয়েই সেই ভাতার অঙ্ক ৫০০ থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা করে দেওয়া হয়। অথচ কাজ দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। সেই অনুযায়ী সঠিক ভাতা তাঁরা পাচ্ছেন না। এই দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

KMC: কাজ বেড়েছে, দৈনিক ভাতা ৫০০ থেকে ১০০ হয়েছে, মেয়র ফিরহাদকে ঘিরে বিক্ষোভ স্বাস্থ্যকর্মীদের
মেয়রকে ঘিরে বিক্ষোভ স্বাস্থ্যকর্মীদেরImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Sep 16, 2025 | 6:19 AM

কলকাতা: পুজোর সময় তাঁদের কাজ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। অথচ দৈনিক ভাতা ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা পৌরনিগমের অন্দরেই মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিলেন মেয়র। তবে ডেপুটি মেয়র বলছেন, জাতীয় স্বাস্থ্য় মিশনের নিয়মের বাইরে গিয়ে পৌরনিগম টাকা দিতে পারে না।

সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতা পৌরনিগমের নিজের চেম্বার থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার আগে পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের অন্তর্গত স্বাস্থ্যকর্মীদের (কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট) অভিযোগের মুখে পড়েন মেয়র। কলকাতা পৌরনিগমের ১৪৪টি ওয়ার্ডের অন্তর্গত এলাকায় বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক কাজকর্মের জন্য মোট ৪০০ জন কর্মী নিযুক্ত রয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০১৯ সালে যখন তাঁদের নিযুক্ত করা হয়েছিল, পুজোর সময় অতিরিক্ত কাজ করার জন্য দৈনিক ৫০০ টাকা ভাতা দেওয়া হত। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে কিছু না জানিয়েই সেই ভাতার অঙ্ক ৫০০ থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা করে দেওয়া হয়। অথচ কাজ দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। সেই অনুযায়ী সঠিক ভাতা তাঁরা পাচ্ছেন না। এই দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মেয়র আশ্বস্ত করেন, আগামী বুধবার এই বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অন্তর্গত শহরে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কাজের জন্য এই কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। এই ধরনের কর্মীদের মোট খরচের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ৬০ শতাংশ বহন করে। এবং কলকাতা পৌরনিগম ৪০ শতাংশ টাকা বহন করে। স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বক্তব্য, “জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের নিয়মের বাইরে গিয়ে আমরা টাকা দিতে পারি না। যেটুকু টাকা দেওয়া হচ্ছে, তা মানবিক স্বার্থে। তবে সমস্যা মেটাতে আলোচনা করব।”