Hestings: যুবকের মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা, হেস্টিংস থানার সামনে বিক্ষোভ পরিবারের
Newtwon: পরিবারের দাবি, ভোরে তাঁদের কাছে একটা ফোন আসে। তাতে বলা হয় নিশান্তের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভোরেই এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, নিশান্তের মৃত্যু হয়েছে।
কলকাতা: নিউ আলিপুরে এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা। পুলিশের দাবি, বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে যুবকের। যদিও পরিবারের অভিযোগ, দুর্ঘটনা নয়, খুন করা হয়েছে যুবককে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নীশান্ত চৌধুরী (২২)। হেস্টিংস থানা এলাকায় যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হেস্টিংস থানার বাইরে জমায়েত করে রাখেন পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের দাবি, ভোরে তাঁদের কাছে একটা ফোন আসে। তাতে বলা হয় নিশান্তের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভোরেই এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, নিশান্তের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ হেস্টিংস সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, দুটি ট্রেলারের মাঝে ধাক্কা লেগে স্কুটার নিয়ে পড়ে যান নিশান্ত। তাঁর পিছনে এক মহিলাও বসে ছিলেন। তিনিও আহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, কারোর মাথাতেই হেলমেট ছিল না।
এরপর পুলিশের ভ্যানে আহত যুবককে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের নিশান্তের সঙ্গে থাকা ওই যুবতীর ভূমিকাতেই সন্ধিহান। পরিবারের দাবি, নিশান্তের বান্ধবী প্রথমে নিশান্তকে অ্যাপ বাইকের ড্রাইভার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। অথচ, নিশান্তের স্কুটিতেই ওই যুবতীর ব্যাগ, জুতো সব ছিল। আর দ্বিতীয়বার বয়ান বদল করেছিলেন যুবতী। তাতেই পরিবারের সন্দেহ হয়।
পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে এফআইআর দায়ের করতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি। তিন ঘণ্টা পর এফআইআর নিয়েছে পুলিশ। এখনও থানার বাইরে জড়ো হয়ে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
আরও একটি বিষয়, হেস্টিংসের যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে ১৯টা ক্যামেরা রয়েছে। জানা যাচ্ছে, সেই ১৯টা ক্যামেরাই খারাপ।