কলকাতা : মাটিয়া ও ইংরেজবাজার ধর্ষণ মামলায় চাপ বাড়ছে রাজ্যের। আগামী সোমবারের মধ্যে এই দুই মামলায় হলফনামা আকারে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে কেস ডায়েরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। নির্যাতিতাদের শারীরিক অবস্থা কেমন, তার রিপোর্টও দিতে হবে আদালতে। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, চিকিৎসক সহ চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ধরণের সহযোগিতা দিতে হবে নির্যাতিতাদের। পরের শুনানি আগামী সোমবার। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে সেই মামলা।
মাটিয়া ও ইংরেজবাজার ধর্ষণ কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী, নির্ভয়ার ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। শুক্রবার মাটিয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। শুধু ধর্ষণ নয়, রড ঢুকিয়ে দেওয়ায় অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেস ডায়েরি প্রাথমিক ভাবে নিয়ে সিবিআই নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে আদালতে। মাটিয়ার পাশাপাশি ইংরেজবাজারেও একই রকম ঘটনা।
আরজিকরে চিকিৎসাধীন রয়েছে মাটিয়ার নির্যাতিতা। মাটিয়ায় ১১ বছরের ওই বালিকা গণধর্ষিতা হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। ইংরেজবাজারে বন্দুকের নলের সামনে ধর্ষণ করা হয়েছে। সন্দেশখালিতে একজন মাকে ধর্ষণ করা হয়েছে সন্তানের সামনে। শেষ ১৫ দিনে ১১ টি যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আদালতে। আরজিকরের বদলে কল্যানী এইমসে নির্যাতিতাকে পাঠানোর দাবিও জানানো হয়েছে।
বিচারপতি প্রশ্ন করেন চিকিৎসকের বিষয়ে কোনও সন্দেহ আছে কি না। কেনই বা সন্দেহ। মামলাকারীরা বলেন মেডিকেল বুলেটিন রোজ প্রকাশ করতে হবে। মাটিয়ার ঘটনা জঘন্যতম স্বীকার করে নিয়েছেন এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, নির্যাতিতাদের জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নাবালিকা ভালো আছে। তবে সবাইকে যেন দেখা করতে না দেওয়া হয়।