Addiction in Bengal: মদ-গাঁজার নেশায় ডুবে রাজ্যের কত লক্ষ মানুষ? ভয়াবহ অবস্থা ৮ জেলার, বলছে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান

Addiction in Bengal: বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর প্রশ্নের ভিত্তিতে সোশ্যাল জাস্টিস ও এমপাওয়ারমেন্ট মন্ত্রকের তরফে এ তথ্য সামনে এনেছে। বিজেপির দাবি, ড্রাগ দূরীকরণে বাংলার এনজিওগুলির জন্য ৪.০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও কেন বদলাচ্ছে না পরিস্থিতি? উঠছে প্রশ্ন।

Addiction in Bengal: মদ-গাঁজার নেশায় ডুবে রাজ্যের কত লক্ষ মানুষ? ভয়াবহ অবস্থা ৮ জেলার, বলছে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান
প্রতীকী ছবি Image Credit source: Getty Images

| Edited By: জয়দীপ দাস

Feb 13, 2025 | 5:56 PM

কলকাতা: রাজ্যে ৪০৫৩০৭ জন এমন মানুষ রয়েছেন যাদের কাছে ৯ টির বেশি সিম কার্ড রয়েছে! সংসদ শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্নের উত্তরে সামনে এসেছে এই বিস্ফোরক তথ্য! তা ঘিরেই শুরু নতুন তরজা। এত সিম কার্ডের কিসের প্রয়োজন? এটা কি কোনও অবৈধ কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়, নাকি তথ্য গোপনে প্রয়োগ করা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলছে গেরুয়া শিবির। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ মাদকের ব্যবহার বাড়ছে, আসক্তি বাড়ছে, তৈরি হয়েছে নতুন সঙ্কট, তা নিয়েও উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে বাংলায় মদাসক্ত ব্যক্তি সংখ্যা ২৭,০০,০০০। গাঁজাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১,৪৪,০০০। আফিমজাত মাদকের আসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩,৪৩,০০০। সেডেটিভ (নিদ্রাযুক্ত ওষুধ) আসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১,১২,০০০। নেশামুক্তির জন্য, গুরুতর সমস্যার কথা জানিয়ে রাজ্য থেকে ১৫,০০০টি জরুরি ফোন কলও এসেছে বলেও জানা যাচ্ছে। বিজেপির দাবি, নেশামুক্তির জন্য এই ফোনকলই সঙ্কটের তীব্রতাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে। 

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব সঙ্কট পশ্চিমবঙ্গকে এক বিপজ্জনক প্রান্তের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন পদ্ম নেতারা। তাঁদের সাফ কথা, পশ্চিমবঙ্গ মারাত্মক মাদকাসক্তির সঙ্কটে ভুগছে। তবুও রাজ্যের হেলদোল নেই। সরকার এখনও নেশামুক্ত ভারত প্রকল্প কার্যকর করেনি। বিজেপির দাবি, সঙ্কট এতটাই তীব্র যে রাজ্যের আটটি জেলা এই সমস্যার জন্য অতিসংবেদনশীল বলে চিহ্নিত হয়েছে। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর প্রশ্নের ভিত্তিতে সোশ্যাল জাস্টিস ও এমপাওয়ারমেন্ট মন্ত্রকের তরফে এ তথ্য সামনে এনেছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বি এল বর্মা লিখিত উত্তর দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদের। বিজেপির দাবি, ড্রাগ দূরীকরণে বাংলার  এনজিওগুলির জন্য ৪.০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তারপরেও পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি।