Bangladesh: বাংলাদেশ যতই ঘুড়ি ওড়াক লাটাই তো ভারতের হাতেই! কেন? ব্যাখ্যা দিলেন বিশেষজ্ঞরা

Bangladesh: তথ্য় বলছে, বাংলাদেশের মোট আমদানির ১৮ শতাংশই আসে ভারত থেকে। বস্ত্রশিল্পের জন্য তুলোর সিংহভাগ যায় ভারত থেকে। ভারত থেকে রফতানি হয় চাল, গম, পেঁয়াজ, মশলা। পেট্রোপণ্য থেকে যন্ত্রাংশ, শিল্পের কাঁচামাল যায় ভারত থেকেই। তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশের জামাত সমর্থকদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন।

Bangladesh: বাংলাদেশ যতই ঘুড়ি ওড়াক লাটাই তো ভারতের হাতেই! কেন? ব্যাখ্যা দিলেন বিশেষজ্ঞরা
প্রতীকী ছবি Image Credit source: Getty Images

Dec 01, 2024 | 4:34 PM

কলকাতা: বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, ইন্দিরা গান্ধীর সমর্থন, ভারতীয় সেনার বলিদান। এসবের বিনিময়ে স্বাধীনতা পায় বাংলাদেশ। কিন্তু, এখন একেবারে যেন অন্য ছবি। যেভাবে লাগাতার ভারত বিরোধী মন্তব্য ধেয়ে আসছে, যেভাবে ভারতের উপর আক্রমণ নেমে আসছে তা দেখে অনেকেই বলছেন অকৃতজ্ঞভাবে ইতিহাস বদল দেওয়ার কাজ চলছে। গত কয়েক মাসে হিন্দুদের উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার, ঘরবাড়ি লুটপাট, মারধর, বিনা কারণে ধরা নিয়ে যাওয়া, চাকরি থেকে জোর করে ছাঁটাইয়ের মতো অভিযোগ সামনে এসেছে। অথচ এখন বাংলাদেশে কমবেশি ২ কোটি হিন্দুর বাস। তাদের একটা বড় অংশের আত্মীয় পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা বা অসমে থাকেন। যে দেশের স্বাধীনতায় সংখ্যালঘুদের বড় অবদান, এখন তাদেরকেই উত্‍খাতের ছক? অনেকেই আবার তথ্য দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন, ভারত না থাকলে একটা দিনও চলবে না বাংলাদেশের। শুভেন্দু অধিকারী তো বলেই দিয়েছেন ফরাক্কা দিয়ে বিদ্যুত্‍ না গেলে ওপার বাংলার বড় অংশে অন্ধকার নেমে আসবে। 

ভারত-নির্ভর বাংলাদেশ 

তথ্য় বলছে, বাংলাদেশের মোট আমদানির ১৮ শতাংশই আসে ভারত থেকে। বস্ত্রশিল্পের জন্য তুলোর সিংহভাগ যায় ভারত থেকে। ভারত থেকে রফতানি হয় চাল, গম, পেঁয়াজ, মশলা। পেট্রোপণ্য থেকে যন্ত্রাংশ, শিল্পের কাঁচামাল যায় ভারত থেকেই। তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশের জামাত সমর্থকদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন। ভারত যদি, চাল-ডাল বন্ধ করে দেয়, বাংলাদেশের মানুষ খাবে কী? ভারত জল বন্ধ করে দিলে কি হবে, বিদ্যুতের লাইন কেটে দিলে কী হবে! বাংলাদেশে জামাকাপড় ছাড়া, আর কিছুরই তো কারখানা নেই। সবই তো আমদানি করতে হয়। চিন, পাকিস্তান দেবে তো? এই প্রেক্ষাপটে কড়া অবস্থান নেওয়ার কথা বলছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে কড়া বিবৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। আরএসএসের বিবৃতিতে অবিলম্বে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। চিন্ময় প্রভুর গ্রেফাতারি অন্যায়। ওপার বাংলায় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এপারের সংখ্যালঘুরা। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার উপর চাপ বাড়াচ্ছে নয়াদিল্লিও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, শেখ হাসিনা আইনত প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, একই কথা বলছেন আওয়ামী লিগের অনেকতাও। এ কথা বলেই বর্তমানে তাঁরা জমি তৈরির চেষ্টা করছেন। এমতাবস্থায়, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে বিষয়টি পৌঁছালে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ আরও পুড়বে বাংলাদেশের।