JP Nadda : বাংলার জন্য কতটা ভাবেন মোদী, ফিরিস্তি দিয়ে জানালেন নাড্ডা
JP Nadda : এদিনের মঞ্চ থেকেই তৃণমূলের (Trinamool-Congress) সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি। বললেন মমতার এই অপশাসন, জঙ্গলরাজকে শীঘ্রই বাংলার মানুষ আলবিদা জানাবে।
কলকাতা : বাংলা ভাগ চায় না বিজেপি (BJP)। পূর্বস্থলীর সভা থেকে এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) পাশে নিয়ে এ কথা বলতে দেখা যায় বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। যা নিয়ে শোরগোল চলছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এই মঞ্চ থেকেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন নাড্ডা। বললেন, অপশাসন, জঙ্গলরাজকে শীঘ্রই বাংলার মানুষ আলবিদা জানাবে। উল্টোদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসাতেও পঞ্চ মুখ হতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে তিনি বলেন, “মোদীজির নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। মোদীজির রাজত্বে দেশের অর্থব্যবস্থা আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। এটাই হচ্ছে বিকাশ। ছোটবেলায় আপনারা শুনতেন গাড়ি তো বানায় জাপান। অটো মোবাইলের ক্ষেত্রে অনেক যোজন এগিয়ে ছিল এই দেশ। কিন্তু, আজ মোদীজির রাজত্বে জাপানকে পিছনে ফেলে ভারত গাড়ি ইন্ড্রাস্ট্রির ক্ষেত্রে তিন নম্বরে উঠে এসেছে। আগে আমরা বিশ্বের নানা দেশের কাছ থেকে ওষুধ নিতাম। এখন আমরা গোটা বিশ্বকে ওষুধ দিই। ভারত গোটা ভারতের ফার্মেসি হাব হয়ে উঠেছে ভারত। সবথেকে কার্যকরী আর সস্তার ওষুধ ভারতেই পাওয়া যায়।”
নাড্ডার দাবি, মোদীর মূল মন্ত্রই হচ্ছে ‘সাবকা সাথ, সাবকা বিকাশ’। তাই বাংলাকে কখনওই আলাদা চোখে দেখেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। উল্টে মোদীজি সর্বদাই বাংলা তথা গোটা দেশের পাশাপাশি থাকার চেষ্টা করেছেন। তাঁর সাফ দাবি, মোদীজির জন্য ১৪০ কোটির দেশে করোনাকে এত দ্রুত আটকে ফেলা সম্ভব হয়েছে। মিলেছে ডাবল ডোজের ভ্যাকসিন। ভারত এখন ভ্যাকসিন অন্যদের থেকে নেয় না। তিনি বলেন, “আমরা ১০০টি দেশকে ভ্যাকসিন দিয়েছি। তারমধ্যে ৪৮ দেশকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।” ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আটকাতেও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মোদী, দাবি নাড্ডার। তিনি বলেন, “দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মোদী। সে দেশে আটকে পড়া বাচ্চা থেকে সাধারণ মানুষদের নিরাপদে এ দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। যে ২২ হাজার ৫০০ বাচ্চাকে ইউক্রেন থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে ৩০০ বাচ্চা বাংলারও ছিল। এভাবেই বাংলাকে দেখেন মোদীজি। বুঝলেন দিদি।”
শুধু এখানে না থেমে থেকে মোদী জমানায় উন্নতির আরও একাধিক খতিয়ান তুলে ধরেন নাড্ডা। বলেন, “২০১৪ সালে যত মোবাইল ভারতে পাওয়া যেত তার ৫২ শতাংশ চিন, ইউরোপ, আমেরিকা থেকে আসত। এখন ভারতে পাওয়া যাওয়া মোবাইলের মধ্যে ৯৭ শতাংশ ভারতেই তৈরি হয়। অ্যাপেলের মোবাইলেও দেখবেন লেখা আছে মেড ইন ইন্ডিয়া। এখন এই অ্যাপেলও ভারতেই তৈরি হচ্ছে।” বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সাফ দাবি, মোদীজির নেতৃত্বে সুশাসন কাকে বলে তা দেখেছে গোটা দেশ। নারী ক্ষমতায়ন থেকে যুবশক্তির ভীত আরও শক্ত হয়েছে। যুবকদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে। আদবিসীদের অনেক সমস্যা দূর হয়েছে। এটাই করে দেখিয়েছিন নরেন্দ্র মোদী।