
কালীঘাট: টাকা হাতানো, হুমকি, নিগ্রহ, র্যাগিং, অভিযোগ পর অভিযোগ! বছরের পর বছর ধরে কেসের পর কেস, কিন্তু কেশাগ্রও ছুঁতে পারেন পুলিশ। এলাকায় দুর্নামের শেষ নেই। কিন্তু তাতেই কিছুই যায় আসে না। কলেজ থেকে কালীঘাটের পাড়ার লোক, তাঁর দাপটে ভয়ের আবহ সর্বত্রই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সেই দাপুটে নেতার বিরুদ্ধেই উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। কসবার ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরেই উঠেছে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। সঙ্গ দিয়েছিল দুই অনুগামী। তিনজনেই এখন গারদে। কালীঘাট এলাকার তথা ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্যায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। তাঁর সাফ কথা, এলাকায় একাধিক দুর্নাম ছিল। আমি এলাকায় দলের কাজে ওকে ঢুকতে দিতাম না।
কাউন্সিলর বলছেন, মনোজিতের নামে নানা অভিযোগ নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা বারবার এসেছেন তাঁর কাছে। এমনকী দলের নাম করেই ওই ‘গুণধর’ এলাকায় অনেক কুকাজ করেছেন দীর্ঘদিন থেকে। তিনি বলছেন, “দলের নাম বদনাম করে এলাকায় অনেক কাজ করেছে। আমি বুঝতে পারছিলাম, দলের জন্য এই ছেলেটা খারাপ।” সঙ্গে এও বলছেন, “আমি চিনতাম না, এটা বলব না। কারণ আমি ওকে এলাকায় নয় কিন্তু এলাকার বাইরে অনেক দলীয় কর্মসূচিতে দেখেছি। সাধারণ মানুষ একাধিক অভিযোগ করতো বলে, আমি ওর সঙ্গে মিশতাম না। কিন্তু কেউ যদি আমার কাছে এসে পিছনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে, তাহলে আমি কী করে বুঝব তার ব্যক্তিগত বা মানসিকতায় কি রয়েছে।”
এলাকার বাসিন্দাদেরও অভিযোগের অন্ত নেই। তাঁরা বারবার বলছেন, আগেও একাধিক বিষয় নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে ওই যুবক। কারও কথাই নাকি শুনত না। সকালে মিষ্টি কথা বলতো। বিকেলে সম্পূর্ণ বিপরীত। মুখের ভাষা থেকে অন্যান্য বিষয়ে মনোজিতের সঙ্গে কথা বলা যেত না।