কলকাতা: অগ্নাশয়ে অতি বিরল টিউমারের সফল অস্ত্রোপচার করে দেখাল কলকাতা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিসংখ্যান বলছে, গোটা দুনিয়ায় ১০০ কোটি মানুষের মধ্যে চারজন পুরুষের শরীরে এমন টিউমারের দেখা মেলে। অস্ত্রোপচার করে বাঁচাতে গেলে ৯টি অর্গান বাদ দেওয়ার দরকার পড়ে। কিন্তু কলকাতায় কোনও অঙ্গ বাদ না দিয়েই সেই টিউমারটিকে বের করে আনা হল শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে।
বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন বছর ২৫-এর পরাশর ভট্টাচার্য। মাস দু’য়েক আগে পেটের ব্যাথায় কাবু হতেই ছোটেন চিকিৎসকের কাছে। পরাশরের কথায়, “হঠাৎই একদিন গোটা রাত পেটের যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকি। সকালে উঠে কমে গিয়েছিল। তবু আমি ইউএসজি করাই। সিটি স্ক্যানও করি। তাতেই এই টিউমার ধরা পড়ে।” অগ্নাশয় ও অগ্নাশয়ের যে রক্তনালী, তার উপরই বাসা বেঁধেছিল টিউমারটি। যেটিকে বিরলের মধ্যেও বিরল বলে ধরা হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে।
চিকিৎসক শুদ্ধসত্ত্ব সেন শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করেন। বিশেষ পদ্ধতিতে রক্তক্ষরণ কম করে অস্ত্রোপচার করা হয়। শুদ্ধসত্ত্ববাবু বলেন, “ওর যা সমস্যা ছিল তাতে ৯টা অর্গান বাদ দিয়ে অস্ত্রোপচার করতে হত। কিন্তু আমরা আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে বাকি অঙ্গগুলিকে বাঁচিয়েই টিউমারটি বের করে আনতে পেরেছি। কোনও রক্তের প্রয়োজন হয়নি, আইসিইউতে রাখা হয়নি, ভেন্টিলেটরে রাখা হয়নি। ফলে অনেক খরচও বেঁচে গিয়েছে। রোগীও এখন পুরোপুরি সুস্থ।”
পরাশরের বাবা প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথায়, “আমরা একেবারেই নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষ। আমরা যে এত ভাল পরিষেবা পাব স্বপ্নে ভাবতে পারিনি। দেবদূতের মতো ডাক্তার পেলাম। যিনি আমার ছেলেকে নতুন প্রাণ দিয়েছেন। ওনার কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।” অস্ত্রোপচারের পর এখন ভাল আছেন পরাশর। নিজেই জানালেন, উঠতে বসতে যে টুকু ব্যাথা হওয়ার তা বাদ দিলে আর সে অর্থে শরীরে কোনও কষ্ট নেই। বিশ্বের তাবড় হাসপাতালে যে টিউমার বাদ দিতে শরীর থেকে ছেঁটে ফেলা হয় ৯টি অর্গান, কলকাতা সেগুলি সুরক্ষিত রেখেই নতুন জীবন দিল ওই তরুণ তুর্কিকে। আরও পড়ুন: ‘আপনার রোগী হলে এরকম করতে পারতেন?’, বাবাকে নিয়ে পাঁচ হাসপাতাল ঘুরে ভেঙে পড়ল অসহায় ছেলে
কলকাতা: অগ্নাশয়ে অতি বিরল টিউমারের সফল অস্ত্রোপচার করে দেখাল কলকাতা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিসংখ্যান বলছে, গোটা দুনিয়ায় ১০০ কোটি মানুষের মধ্যে চারজন পুরুষের শরীরে এমন টিউমারের দেখা মেলে। অস্ত্রোপচার করে বাঁচাতে গেলে ৯টি অর্গান বাদ দেওয়ার দরকার পড়ে। কিন্তু কলকাতায় কোনও অঙ্গ বাদ না দিয়েই সেই টিউমারটিকে বের করে আনা হল শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে।
বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন বছর ২৫-এর পরাশর ভট্টাচার্য। মাস দু’য়েক আগে পেটের ব্যাথায় কাবু হতেই ছোটেন চিকিৎসকের কাছে। পরাশরের কথায়, “হঠাৎই একদিন গোটা রাত পেটের যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকি। সকালে উঠে কমে গিয়েছিল। তবু আমি ইউএসজি করাই। সিটি স্ক্যানও করি। তাতেই এই টিউমার ধরা পড়ে।” অগ্নাশয় ও অগ্নাশয়ের যে রক্তনালী, তার উপরই বাসা বেঁধেছিল টিউমারটি। যেটিকে বিরলের মধ্যেও বিরল বলে ধরা হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে।
চিকিৎসক শুদ্ধসত্ত্ব সেন শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করেন। বিশেষ পদ্ধতিতে রক্তক্ষরণ কম করে অস্ত্রোপচার করা হয়। শুদ্ধসত্ত্ববাবু বলেন, “ওর যা সমস্যা ছিল তাতে ৯টা অর্গান বাদ দিয়ে অস্ত্রোপচার করতে হত। কিন্তু আমরা আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে বাকি অঙ্গগুলিকে বাঁচিয়েই টিউমারটি বের করে আনতে পেরেছি। কোনও রক্তের প্রয়োজন হয়নি, আইসিইউতে রাখা হয়নি, ভেন্টিলেটরে রাখা হয়নি। ফলে অনেক খরচও বেঁচে গিয়েছে। রোগীও এখন পুরোপুরি সুস্থ।”
পরাশরের বাবা প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথায়, “আমরা একেবারেই নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষ। আমরা যে এত ভাল পরিষেবা পাব স্বপ্নে ভাবতে পারিনি। দেবদূতের মতো ডাক্তার পেলাম। যিনি আমার ছেলেকে নতুন প্রাণ দিয়েছেন। ওনার কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।” অস্ত্রোপচারের পর এখন ভাল আছেন পরাশর। নিজেই জানালেন, উঠতে বসতে যে টুকু ব্যাথা হওয়ার তা বাদ দিলে আর সে অর্থে শরীরে কোনও কষ্ট নেই। বিশ্বের তাবড় হাসপাতালে যে টিউমার বাদ দিতে শরীর থেকে ছেঁটে ফেলা হয় ৯টি অর্গান, কলকাতা সেগুলি সুরক্ষিত রেখেই নতুন জীবন দিল ওই তরুণ তুর্কিকে। আরও পড়ুন: ‘আপনার রোগী হলে এরকম করতে পারতেন?’, বাবাকে নিয়ে পাঁচ হাসপাতাল ঘুরে ভেঙে পড়ল অসহায় ছেলে