‘আপনার রোগী হলে এরকম করতে পারতেন?’, বাবাকে নিয়ে পাঁচ হাসপাতাল ঘুরে ভেঙে পড়ল অসহায় ছেলে

SSKM: পক্ষাঘাতগ্রস্ত বেহালার বাসিন্দা রুদ্রাক্ষ চক্রবর্তী। শুক্রবার সকাল থেকেই শরীর খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার।

'আপনার রোগী হলে এরকম করতে পারতেন?', বাবাকে নিয়ে পাঁচ হাসপাতাল ঘুরে ভেঙে পড়ল অসহায় ছেলে
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2021 | 6:59 AM

কলকাতা: পাঁচ পাঁচটি হাসপাতাল ঘুরলেন মুমূর্ষু রোগী। রেফারের ধাক্কায় নাজেহাল পরিবারের লোকজন। অবশেষে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ৬৫ বছরের এই বৃদ্ধকে ভর্তি করানো হল এসএসকেএম হাসপাতালে। অভিযোগ, শুক্রবার সকাল থেকে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতাল, চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল, এআরএস, এসএসকেএম, শম্ভুনাথ পণ্ডিত ঘুরেও বৃদ্ধকে ভর্তি করানো সম্ভব হয়নি। গভীর রাতে ফের এসএসকেএমে আসে রোগীর পরিবার। বহু কাঠ খড় পুড়িয়ে সেখানে ভর্তি করানো সম্ভব হয় রোগীকে।

পক্ষাঘাতগ্রস্ত বেহালার বাসিন্দা রুদ্রাক্ষ চক্রবর্তী। শুক্রবার সকাল থেকেই শরীর খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করাতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয় রেফারের কারণে। অভিযোগ, একের পর এক হাসপাতাল রোগীকে শুধু রেফারই করে গিয়েছে।

রোগীর ছেলের অভিযোগ, “বিদ্যাসাগর হাসপাতাল থেকে পার্ক সার্কাসে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওরা বলল এখানে এসব চিকিৎসা হয় না। তোমরা হয় পিজি চলে যাও, না হলে নীলরতনে চলে যাও। পিজি কিছুক্ষণের জন্য ঢুকিয়ে একটা স্যালাইন, একটা ইনজেকশন দিয়ে বলল এখানে জায়গা নেই। আপনারা শম্ভুনাথে চলে যান। ওরাও বলছে সিট নেই। আমার সঙ্গে রীতিমত ঝগড়া হল। বললাম ‘আপনার পেশেন্ট হলে এরকম করতে পারবেন?’। আমাকে পাল্টা বলল অত কথা শুনতে চাই না। আপনার রোগী আপনি বুঝুন।” বহু লড়াইয়ের পর ফের এসএসকেএম হাসপাতালে এনে রাত সাড়ে ১২টার সময় ভর্তি করানো হয় রোগীকে। ততক্ষণে শরীর ছেড়ে দিয়েছে ওই ব্যক্তির। শ্বাসের কষ্টও বেড়েছে। আরও পড়ুন: গভীর অন্ধকার কুয়োয় ২ দিন- ১ রাত, কোনওমতে প্রাণ বাঁচল ১৯ জনের, মৃত ১১