কলকাতা: চলতি মাস থেকেই সিপিএমের একাধিক কমিটির বৈঠক শুরু হচ্ছে। কিন্তু কোভিডের চোখ রাঙানির কারণে সেই সমস্ত বৈঠক কী ভাবে হবে তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থেকেই যাচ্ছে। অতিমারিকালে ভার্চুয়াল পথ খোলা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু সে পথে সকলের যোগদান কতটা সম্ভব তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা রয়েছে সিপিএমের অন্দরে। তারা চাইছে যাবতীয় কোভিড প্রটোকল মেনে বৈঠকগুলিতে সশরীরে হাজির থাকুন নেতারা। তবে সে ক্ষেত্রে টিকাগ্রহণ আবশ্যক হতে পারে।
চলতি মাসে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। সেখানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সাংগঠনিক সম্মেলনে আলোচনার বিষয় চূড়ান্ত হবে। বঙ্গে আবার অগস্ট-সেপ্টেম্বরে সম্মেলন রয়েছে শাখা স্তর থেকে। আগামী বছরের একেবারে গোড়ায় পার্টি কংগ্রেস। এদিকে করোনা পরিস্থিতিও যে নিয়ন্ত্রণে তেমনটা বলা যায় না। বরং উদ্বেগ জিইয়ে রেখেছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা।
সিপিএমের অন্দরের খবর, তবু তারা চাইছে সমস্ত সম্মেলনে যেন নেতারা হাজির থাকেন। কারণ, ভার্চুয়ালি সবার পক্ষে যোগদান করা সম্ভব নয়। বরং করোনা বিধি মেনে সেখানে দলের কর্মী, সদস্যদের হাজির থাকতে বলা হবে। এ ক্ষেত্রে টিকাকরণ আবশ্যক। সূত্রের খবর, টিকা না নিলে সম্মেলনে থাকা কঠিন হবে পার্টি সদস্যের। সে কারণে সবাইকে টিকা নিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সামান্যতম উপসর্গ থাকলেও যোগ দেওয়া যাবে না সম্মেলনে। আরও পড়ুন: বাংলা-সহ তিন রাজ্যে আরও ৪০ জঙ্গি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে, প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য
সম্মেলনস্থল হবে বড়, ছড়ানো জায়গা। যাতে দূরত্ব বিধি মানা যায়। বয়স্ক সদস্যদের জন্য আলাদা ভাবনাচিন্তা করা হবে বলেই সূত্রের দাবি। জেলা, রাজ্য সম্মেলনে প্রতিনিধির সংখ্যা কমানো হতে পারে। পার্টি কংগ্রেসেও প্রতিনিধি কমানো হতে পারে। তেমনটা হলে, সম্মেলন দ্রুত শেষ করা যাবে। কারণ, এই সব ক্ষেত্রে সম্মেলন কয়েকদিন ধরে চলে। প্রতিনিধির সংখ্যা কমলে সময় কম লাগবে। যদিও সমস্ত বিষয়টিই এখনও আলোচনার স্তরে। চূড়ান্ত নির্দেশিকা আসবে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক থেকে।