Mid Day Meal: মঙ্গল না বুধ, কোনটা আসল চিত্র? কেন্দ্রীয় দল ফিরতেই উধাও মাস্ক-টুপি-অ্যাপ্রন-শিক্ষক
Mid Day Meal: রাজারহাটের আনন্দ কিশোরী স্কুল। রান্নাঘরে একজন রাঁধুনি ছিলেন। মাথায় টুপি, পরনে অ্যপরন থাকলেও মুখে ছিল না মাস্ক।
রাজারহাট: মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস, মাথায় টুপি, পরনে অ্যাপ্রন। মঙ্গলবার রাজারহাটের স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিলের রান্নার চলছিল জোর প্রস্তুতি। কেন? কারণ তদারকিতে এসেছিল কেন্দ্রের পাঠানো প্রতিনিধি দল। ঠিক তার একদিন পর বদলে গেল চিত্র। তবে টিভি ৯ বাংলার ক্যামেরা নজরে পড়তেই বাড়তি সতর্কতা। খাবার ঢাকা দিতে ব্যস্ততা চোখে পড়েছে।
রাজারহাটের বনমালিপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল। রান্নাঘরে একজন রাঁধুনি ছিলেন। মাথায় টুপি, পরনে অ্যপরন থাকলেও মুখে ছিল না মাস্ক। এরপর টিভি ৯ এর ক্যামেরা দেখতেই তড়ঘড়ি তা পরে নেন। এরপরই আঢাকা খাবারগুলি চাপা দিতে ব্যস্ত থাকেন তিনি।
এ তো গেল রান্নাঘরের দৃশ্য। এবার ক্লাসরুম। যে স্কুল গতকাল গমগম করছিল কেন্দ্রীয় দলকে স্বাগত জানানোর জন্য, আজ পুরো ভোলবদল। ক্লাসরুম সব ফাঁকা। পড়ুয়ারা বসে রয়েছে অথচ স্যার-ম্যাডামরা নেই। আর যাঁরা এসেছেন তাঁদের উপস্থিতি নিতান্ত নগন্য। তাঁদেরকে প্রশ্ন করতে জানালেন, “তিনজন মেডিক্যাল লিভ নিয়েছেন। টিচার-ইন-চার্জ উপস্থিত নেই।”
উল্লেখ্য, রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। মিড ডে মিলের রান্নার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁরা কতটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে রান্না-বান্না করছেন সেই সব ঘুরে দেখেন কেন্দ্রের পাঠানো প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। কোথায় রান্না হচ্ছে, কী তেল ব্যবহার করা হচ্ছে, কোন কোন মশলা ব্যবহার করা হচ্ছে, কী ধরনের চাল ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই সব খতিয়ে দেখেন জয়েন্ট রিভিউ মিশনের আধিকারিকরা। নিয়মিত অ্যাপ্রন পরে রান্নাবান্না হয় কি না, সেই সব বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছেন তাঁরা।
গতকালই প্রশ্ন উঠেছিল কেন্দ্রীয় টিম পরিদর্শনে আসছে বলেই কি রাতারাতি এই ভোলবদল? স্কুল কর্তৃপক্ষ কি কোনওভাবে আগে থেকে টের পেয়ে গিয়েছিল যে কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শনে আসতে পারে? সেই কারণেই এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পরিপাটি ব্যবস্থা? উত্তরটা যেন মিলল আজ।