Fake Vaccine Case: ভুয়ো ভ্যাকসিন থেকে কি অবৈধ আয়? দেবাঞ্জনের বাড়িতে হানা আয়কর বিভাগের

Debanjan Deb: আর্থিকভাবে কি লাভবান হয়েছিলেন দেবাঞ্জন? সেটাই জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকেরা।

Fake Vaccine Case: ভুয়ো ভ্যাকসিন থেকে কি অবৈধ আয়? দেবাঞ্জনের বাড়িতে হানা আয়কর বিভাগের
ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডে গ্রেফতার হয় দেবাঞ্জন (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2021 | 2:58 PM

কলকাতা: ইডির পর এবার দেবাঞ্জনের বাড়িতে হানা দিল আয়কর বিভাগের (Income Tax) আধিকারিকরা। শুক্রবার দিনভর আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা তল্লাশি চালায় দেবাঞ্জনের (Debanjan Deb) বাড়িতে। গত পাঁচ বছরের আয়করের হিসেব খতিয়ে দেখতেই দেবাঞ্জনের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন ওই আধিকারিকরা। কোথা থেকে টাকা পেতেন? কত টাকা আসত? কী ভাবে রোজগার করতেন দেবাঞ্জন? এ সবই জানার চেষ্টা চলছে। আয়কর বিভাগের হাতে যা তথ্য এসেছে, তা ইডির হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও ২ সহযোগীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কলকাতা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট যৌথভাবে এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। আর্থিক লেনদেনের কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া দেবাঞ্জনের সঙ্গে আরও কারা এই ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডে যুক্ত ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইডির গোয়েন্দা আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জেরা করেছে দেবাঞ্জন দেবকে। কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের আরও ৭ সহযোগীকেও জেরা করেছেন তাঁরা। ইডির অফিসারদের অভিযোগ, জেরায় তেমন কিছু বলেনি দেবাঞ্জন দেব। তদন্তে দেখা গিয়েছে বিপুল টাকা আসত দেবাঞ্জনের কাছে। দেবাঞ্জনের টাকার উৎস কোথায়, সেই টাকা কী ভাবে ব্যবহার করা হত? এ সবই তলিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এফআইআর-এর সমস্ত কপি খতিয়ে দেখার পরই দিল্লিতে ইডির বিশেষ কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় পা রাখবেন শুভেন্দু অধিকারী, এবার কি কোমর বাঁধছে রাজ্য বিজেপি?

ইডির তরফে জানা গিয়েছে, দেবাঞ্জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, প্রভাবশালী বহু সরকারি অফিসারের সঙ্গে দেবাঞ্জনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থেকে থাকতে পার। ইডি জানিয়েছে, বিভিন্ন দফতর থেকে বরাত নিয়ে ঠিকাদারি করত দেবাঞ্জন। সেই সঙ্গে নিজেকে ভুয়ো আইএএস অফিসার হিসেবেও পরিচয় দিত সে। দীর্ঘ অনেক বছর রাজ্য সরকারের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে মেলামেশা করেছিল দেবাঞ্জন। আইএএস অফিসারদের কাছ থেকেই শিখেছিল তাদের আদবকায়দা।

ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলায় ধৃত ইন্দ্রজিৎ সাউ নামে এক জনকে আগেই জেরা করে বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি, দেবাঞ্জনের তল্লাশি চালানো হয় দেবাঞ্জনের মাদুরদহের বাড়িতেও। দেবাঞ্জনের বাবা, মা ও বোনের বয়ানও নথিবদ্ধ করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, দেবাঞ্জনের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের কলকাতার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। এ বার দেবাঞ্জনের আয় সংক্রান্ত তথ্য আয়কর দফতরের থেকে নেওয়ার চেষ্টা করবে ইডি। সেই তথ্য খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। কসবার ভ্যাকসিন ক্যাম্পে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে। এরপরই প্রকাশ্যে আসে প্রতারণা চক্র। শুধু ভ্যাকসিন নয়, সামনে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।

আরও পড়ুন: শরীর জুড়ে দগদগে ক্ষত, ভেন্টিলেটরে ৩৩ ঘণ্টার লড়াই শেষ মুম্বইয়ের নির্ভয়ার