দমদম: নির্দলদের পুনরায় দলে ফেরানো হবে না। সেই বার্তা আগেই দিয়েছিল তৃণমূল। তবে এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। অনেকাংশেই দেখা গিয়েছে নির্দলদের আবার ঘরে ফিরিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু দমদমে ধরা পড়ল অন্য চিত্র। একটি কর্মী সভা থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ দমদমের দুই নির্দল কাউন্সিলর ও এক বহিষ্কৃত নেতার। তবে মঞ্চে ওঠার পরই বদলে গেল একজনের মত। ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে আরও একটু সময় লাগবে। জানিয়ে মঞ্চ ছাড়লেন ওই নির্দল কাউন্সিলর।
কী ঘটেছে?
মঙ্গলবার দুপুরে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দমদম রবীন্দ্রভবনে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছিল দক্ষিণ দমদম টাউন তৃণমূল কংগ্রেস। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। সেই মঞ্চ থেকে দলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ দমদমের দুই নির্দল কাউন্সিলর ও এক বহিষ্কৃত নেতার। কর্মী সম্মেলনের শেষে যোগদানের জন্য তাঁদের নামও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এরপরেই নাটকীয় মোড় নেয় পুরো ঘটনা।
ব্রাত্য বসু ও সৌগত রায়ের উপস্থিতিতেই সেই সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে সময় চেয়ে নেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মঞ্চ থেকে জানিয়ে দেন, দলের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। কিন্তু ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের যেই ৯৬ শতাংশ মানুষ তাঁকে নির্দল থাকাকালীন বেছে নিয়েছিলেন তাঁদের মতামত নিয়েই তিনি পরবর্তীতে দলের কাছে আহ্বান জানাবেন যোগদানের বিষয়ে।
এই ঘোষণার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই কাউন্সিলর পাশাপাশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মন্ত্রী ও অন্যান্য কাউন্সিলররা। দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,তিনি সর্বাত্মকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নেতৃত্বেই তিনি কাজ করবেন।তবে দলে যোগ দিতে তাঁর সময় লাগবে। এলাকাবাসীর মতামত নেওয়ার পরে তিনি দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেবেন। মন্ত্রীও শেষমেশ তাঁর এই সিদ্ধান্তকে মেনে নেন।
দেবাশিসবাবু বলেন, “আমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু এরপরও দু’বছর বিনা কারণে দু’একজন মানুষের কথা শুনে দল আমায় টিকিট দেয়নি। আমি নির্দল থেকে দাঁড়িয়েছি। আমি জিতেছি। এলাকার মানুষ নির্দলে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। এখন দল আমায় জয়েন করাতে চাইছে ঠিকই। আমি শুধু জনগণের কথা ভেবেই যোগ দিইনি।”অপর দিকে সৌগত রায় বলেন, “একজন যোগদান করেননি। বাকিরা তো করেছে।”