
কলকাতা: গোপালের জন্যই নাকি তাঁর দাদাভাই গিয়েছিলেন বিদেশে পড়তে। আর গোপালের কৃপাতেই যুদ্ধের ভয়াবহ পরিস্থিতি কাটিয়ে ইউক্রেন থেকে ফিরছেন তিনি। তাই গোপালকে সঙ্গে নিয়েই দাদাকে নিতে বিমানবন্দরে পৌঁছলেন বোন।
ইউক্রেনে আটকে থাকা ৬ পড়ুয়া কলকাতায় ফিরলেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদেরকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন ছাত্রী বাকি ছাত্র। প্রত্যেকেই গিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়তে। ইউক্রিনে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকেছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের তৎপরতায় কলকাতায় ফেরানো হয় তাঁদের।
বৃহস্পতিবার ফেরেন দেবমাল্য চট্টোপাধ্যায়। তিনি হাওড়ার হিন্দমোটরের বাসিন্দা। তাঁকে নিতে পরিবারের সদস্যরা বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। দেবমাল্যর বোনকে দেখা যায় হাতে গোপাল নিয়ে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকতে। দেবমাল্যর বোন বলেন, “গোপালকে আমরা সবসময়ের জন্য ডেকেছি। গোপালই দাদাকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে।” পরিবারের সদস্যরা রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ৬, ২০০ জন। আগামী ২ দিনের মধ্যে আরও ৭,৪০০ জনকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। তাঁদের মধ্যে অনেকে রাজ্যেরও বাসিন্দা। অত্যন্ত দ্রুত প্রত্যেককে সুরক্ষিতভাবে দেশে ফেরানো হবে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন। অনেকে টিকিট পেলেও বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফিরতে পারেনি। ইউক্রেনে বিমান নামানোর ভরসা পাচ্ছে না কেন্দ্র। বাধ্য হয়েই ইউক্রেনের প্রতিবেশী পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ায় বিমান নামানো হচ্ছে। তবে দিনে দিনে পরিস্থিতি সঙ্কট হচ্ছে ইউক্রেনে আটকে পড়া পড়ুয়াদের। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় তাঁদের খাবার এবং পানীয় জলেরও সঙ্কট দেখা দিতে শুরু করেছে। যুদ্ধপরিস্থিতিতে ফোনলাইনও ঠিকমতো কাজ করছে না। ভিডিয়ো কলে অনেকে সেই বার্তাও দিচ্ছেন। পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই কন্ট্রোল রুম খুলেছে নবান্ন। সেই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ওই পড়ুয়াদের পরিবারের সদস্যরা নবান্নের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে নবান্নের কর্তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে ওই কন্ট্রোল রুম চালু রাখা হচ্ছে।