
কলকাতা: তাজপুরের গভীর সমুদ্রবন্দর হাতছাড়া হওয়ার পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই প্রথমবার আলাপ করলেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি। সূত্রের খবর, সোমবার রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ভবন নবান্নে গিয়েছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। প্রায় এক ঘণ্টা মতো চলে বৈঠক।
জানা গিয়েছে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে একেবারেই একা আসেননি গৌতম আদানি। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন নিজের ছেলে করণ আদানিকেও। এদিন বিকাল ৫টা নাগাদ নবান্নে ঢোকেন তাঁরা। সরাসরি পৌঁছে যান মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অফিসে। তারপর সেখানেই চলে একান্ত বৈঠক। অবশ্য আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধারের সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেই বিষয়ে নবান্ন তরফে কিছু জানা যায়নি।
বলে রাখা ভাল, চলতি বছরে আয়োজিত বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে কিন্তু দেখা যায়নি গৌতম আদানিকে। জল্পনা তৈরি হয়েছিল, রাজ্য়ের সঙ্গে তাজপুর নিয়েই কি অস্বস্তি বাড়ছে আদানি গোষ্ঠীর? পরবর্তীতে সবটাই প্রকাশ্যে আসে। আপাতত তাজপুর ঘিরে তৈরি হওয়া অস্বস্তিকে সরিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চলে আসেন গৌতম আদানি। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, আদানির আগমনকে ভাল চোখেই দেখা যেতে পারে। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্য বিনিয়োগের ‘আশা’ বেড়েছিল। এমনকি, ২০২২ সালে আদানিদের হাতে তাজপুরের ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ তুলে দেওয়ার আগে গৌতম আদানিকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল। এবারের বৈঠকের পরেও রাজ্য কি আসবে নয়া বিনিয়োগ?
উল্লেখ্য, এক মাস আগেই নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে গিয়েছিলেন টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার এন চন্দ্রশেখরণ। স্বাভাবিক ভাবে যে টাটার সঙ্গে ‘লড়াই’ করেছিলেন মমতা। সেই টাটা গোষ্ঠীরই বর্তমান কর্ণধারের রাজ্যে আগমন, শাসক শিবিরের কোটেই বল দিয়ে দিয়েছিল। এমনকি, ওই বৈঠকের পরেই বাড়ে টাটার ‘প্রত্যাবর্তনের’ প্রত্যাশা।