AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Naushad Siddiqui: ‘সেনার নজরদারি না থাকলে মহমেডানের জমি বিক্রি হয়ে যেত’, কাটমানি নিয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ নওশাদের

Naushad Siddiqui slams Mohammedan club management: মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানের ফুটবল ঐতিহ্য তুলে ধরে নওশাদ বলেন, "মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের ঐতিহ্য বহন করছে। এই তিনটি ক্লাবের মধ্যে মহমেডানের এই দুরবস্থা কেন? এই দুরবস্থার জন্য সরকার, শাসকদল ও ম্যানেজমেন্ট এড়িয়ে যেতে পারে না। আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে বলছি, রাজনীতি একটা সীমা পর্যন্ত হওয়া উচিত।"

Naushad Siddiqui: 'সেনার নজরদারি না থাকলে মহমেডানের জমি বিক্রি হয়ে যেত', কাটমানি নিয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ নওশাদের
নওশাদ সিদ্দিকীImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2025 | 1:40 PM
Share

কলকাতা: একসময় কলকাতায় তিনটে বড় ফুটবল ক্লাবের মধ্যে ছিল মহমেডান স্পোর্টিং। সেই ক্লাব এখন আর্থিক সংকটে ভুগছে। বিনিয়োগকারী পাওয়া যাচ্ছে না। ক্লাবের অস্তিত্ব সংকটে। এই আবহে ক্লাবের ম্যানেজমেন্টকে নিশানা করলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। শুধু ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট নয়, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকেও নিশানা করলেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর আশ্বাস, ম্যানেজমেন্ট ‘হাত’ তুলে নিলে ক্লাবের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনবেন তাঁরা।

মহমেডান ক্লাবের সমস্যা দূর করতে গতকাল সমর্থকরা নওশাদ সিদ্দিকীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলার পর মহমেডান ক্লাবের ম্যানেজমেন্টকে নিশানা করেন নওশাদ। তিনি বলেন, “পেমেন্ট কারা খেয়েছে? সব দোষ ইনভেস্টরদের দিলে হবে না। সেনার নজরদারিতে না থাকলে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের জায়গা বিক্রি করে দিত ম্যানেজমেন্টের কিছু লোক। প্রোমোটিং করে দিত। মহমেডানের ঐতিহ্য ধ্বংস করে দিচ্ছে। সমর্থকদের বলব, এগিয়ে আসুন। এই অচলাবস্থা কাটিয়ে তুলতে হবে।”

মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানের ফুটবল ঐতিহ্য তুলে ধরে নওশাদ বলেন, “মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের ঐতিহ্য বহন করছে। এই তিনটি ক্লাবের মধ্যে মহমেডানের এই দুরবস্থা কেন? এই দুরবস্থার জন্য সরকার, শাসকদল ও ম্যানেজমেন্ট এড়িয়ে যেতে পারে না। আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে বলছি, রাজনীতি একটা সীমা পর্যন্ত হওয়া উচিত। রাজনীতি যদি মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানের চেয়ার দখল করতে চায়, সেখানেই ক্ষতি হয়। সব জায়গায় রাজনীতিকরণ হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবেন কেন? তাঁরা ব্যবসায়ী। তাঁরা লাভের জন্য বিনিয়োগ করেন। কিন্তু, বিনিয়োগের জন্য কেউ কাটমানি চায়, তাহলে কী করে ইনভেস্টর বিনিয়োগ করবেন?”

মহমেডান ক্লাবের ম্যানেজমেন্টকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নওশাদ বলেন, “ম্যানেজমেন্ট হাত তুলে নিক। আমরা কথা দিচ্ছি, আমরা দায়িত্ব নিয়ে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ফুটবল মাঠে যেভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, একইরকম দাপট দেখাবে মহমেডান স্পোর্টিং।” মহমেডানের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও আবেদন জানালেন আইএসএফ বিধায়ক। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সময় মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা মেটাতে যে ভূমিকা পালন করেছেন, সেই একই ভূমিকা পালন করুন মহমেডানের জন্য। মহমেডান ক্লাবের সঙ্গে ছাগলের তৃতীয় সন্তানের মতো আচরণ করা হচ্ছে।” নওশাদ সিদ্দিকীর সমালোচনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না মহমেডানের কর্তা মহম্মদ কামারউদ্দিন।