
কলকাতা: চাপানউতোর চলছিলই। এবার জোট চেয়ে বামফ্রন্টকে চিঠি নওশাদ সিদ্দিকীর। পাল্টা নওশাদকে ফোন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর। পুজো কেটে গেলে দু’পক্ষের আলোচনায় বসার কথা। তৃণমূল বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসকে জোটে চায় আইএসএফ। তিনি বলছেন, “আমরা চাই বিজেপি-তৃণমূলের বাইরে যত সেক্যুলার দল রয়েছে তারা সকলে এক জায়গায় হোক। একজোট হয়ে বিজেপি-তৃণমূলকে হারাক।” তবে খোঁচা দিতেও ছাড়ছে না। ‘গতবার কংগ্রেস আমাদের অচ্ছুৎ মনে করেছিল, আশা করি এবার এমন কিছু হবে না’, এমনও বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নওশাদকে। ‘ফেসবুকের হাওয়ায় পার্টি চালিয়ে আসন ডিমান্ড করা যাবে না’, ঘুরিয়ে সিপিএমকে এ বার্তাও দিয়েছেন নওশাদ।
‘রাহুল গান্ধীর বাংলায় আসা দরকার’
প্রসঙ্গত, শেষ বিধানসভা ভোটে সংযুক্ত মোর্চা দেখেছিল বাংলা। একইসঙ্গে ভোটে লড়েছিল সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ। যদিও তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। হয়ে গিয়েছে লোকসভা ভোট। ইন্ডিয়া জোট দেখেছে গোটা দেশ। জোটে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসকে। পরবর্তীতে বর্তমান সময়েও ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে হাত শিবিরের সখ্য নিয়েও চর্চা চলেছে পুরোদমে। যদিও দিল্লির কংগ্রেস আর বাংলার প্রদেশ কংগ্রেসের মধ্যে যদিও ইন্ডিয়া জোটের সময় থেকেই তৃণমূলের হাত ধরা নিয়ে চাপানউতোর কম হয়নি। এখন নওশাদ যদিও বলছেন, “লোকসভা নির্বাচনে আমাদের মধ্যে যে বনিবনা হয়নি সেটা আমরা পরের উপনির্বাচনেই কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। সেই সময় কংগ্রেস আমাদের অচ্ছুৎ মনে করেছিল বলে আমাদের সঙ্গে আসতে চায়নি। কিন্তু এখন যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি প্রাকটিস করে আমরা তাদের সকলকে ওয়েলকাম করি। কংগ্রেসও তার বাইরে নয়।” তবে একইসঙ্গে নওশাদ যদিও আবার রাহুল গান্ধীকেও ‘দায়িত্ব’ মনে করিয়ে দিচ্ছেন। কার্যত কটাক্ষের সুরেই বললেন, রাহুল গান্ধী রাজ্যে এসে যেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট চুরির কথা বলেন। তাঁর কথায়, “রাহুল গান্ধীর বাংলায় আসা দরকার। তৃণমূলের আমলে যে ভোট চুরিগুলি হচ্ছে আশা করব বাংলায় এসে সেগুলি এক্সপোজ করবেন। কেন্দ্রের ভোট চোর, রাজ্যের ভোট চোরের বিরুদ্ধে কথা বলবে।”
কোথায় কোথায় তৈরি আইএসএফের সংগঠন?
এদিকে সিপিএম আবার আসন সমঝোতা নিয়ে নিজের শরিকদের নিয়েই চাপে রয়েছে। সোজা কথায়, টানাপোড়েন কম হচ্ছে না। চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নিয়ে উঠতে পারেনি বামফ্রন্ট। এমতাবস্থায় বড় কথা বলে দিয়েছেন নওশাদ। তাঁর দাবি গত কয়েক বছরে গোটা রাজ্যেই ধারেভারে তাদের সংগঠন অনেকটাই বেড়েছে। তাঁর সাফ কথা, “ফেসবুকের সংগঠনে আমরা কনটেস্ট করব না। হওয়ায় হাওয়ায় লড়াই করব না। যেখানে আমরা বুথ স্তরে সংগঠন তৈরি করতে পারব সেখানে আমরা লড়াই করব। সেখানেই আমরা আসন চাইব।” ঠিক এরপরই হাসি মুখে বললেন, “মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দিনাজপুরে আমাদের সংগঠন ব্যাপক হারে তৈরি হচ্ছে। আর হাওড়া তো আছেই। কলকাতাতে এক থেকে দু’টি জায়গায় আমরা সংগঠনকে বুথ স্তরে তৈরি করতে পেরেছি।”