
কলকাতা: সকাল থেকে থমথমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ছেঁড়া ব্যানার হোডিং। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিস থেকে এখনও ধোঁয়া বেরোচ্ছে। পুড়ে ছাই অশিক্ষক কর্মচারীদের অফিস। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন সময়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বন্ধু ভবনে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। আগুনও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শনিবার রাতে এগারোটা নাগাদ আবারও এই শিক্ষা বন্ধু ভবনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আগুন দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। রাতে পুলিশ এসে জায়গাটিকে সিল করে দেয়। কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিল তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
এরইমধ্যে কাকভোরে আবার জানা যায় যাদবপুরের প্রাক্তনী সাহিল আলিকে পুলিশ মধ্যরাতে আটক করে। সাহিল DYSA এর কর্মী বলে জানা যাচ্ছে। যদিও সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ জানা যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, WBCUPA এর অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপকদের পেটানোর ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যাদবপুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ ৫টি এফআইআর করেছে। পুলিশ প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠনের অনুষ্ঠানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মন্ত্রীর সামনেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে জোরাল আন্দোলনে সরব হন পড়ুয়ারা। ওঠে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি। তা নিয়েই তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা ক্যাম্পাস। উত্তেজনার আবহেই শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির নিচে পড়ে আহত হয় প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া। সে আবার অতিবাম ছাত্র সংগঠন RSF এর সদস্য বলে জানা যাচ্ছে। তা নিয়েই এখন উত্তাল গোটা রাজ্য। সোমবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে যান শিক্ষামন্ত্রী নিজেও। রক্তচাপও বেড়ে যায়। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লাগে বলেও জানা যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজ বিপদ মুক্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট ভাল এসেছে মাথায় কোনও হেমারেজ নেই। তাঁর চোখেও আঘাত লেগেছে। এদিনই চোখের ডাক্তারের থেকে রিপোর্ট আসার কথা বলে জানা যাচ্ছে।