Jadavpur University: ক্যাম্পাসে মাদক সেবন? ধরা পড়লেই আইনি ব্যবস্থা, একগুচ্ছ ‘কড়া’ নির্দেশিকা যাদবপুরে

Jadavpur University: অন্যদিকে কিছুদিন আগেই আবার বিনা অনুমতিতে বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ। গেটে টাঙানো হয়েছিল বোর্ড।

Jadavpur University: ক্যাম্পাসে মাদক সেবন? ধরা পড়লেই আইনি ব্যবস্থা, একগুচ্ছ ‘কড়া’ নির্দেশিকা যাদবপুরে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 21, 2022 | 11:51 PM

কলকাতা: কিছুদিন আগেই প্রকাশিত এনআইআরএফের (NIRF) তালিকায় দেশের সেরা দশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় চতুর্থ স্থানে পেয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। বিগত কয়েক বছর ধরেই এই তালিকায় শীর্ষ দশে জায়গা ধরে রেখেছে যাদবপুর। তবে বিগত বারেবারেই মাদক বিতর্কে নাম জড়িয়েছে যাদবপুরের। যা নিয়ে বিস্তর চাপানউতরও তৈরি হয় শিক্ষামহলে। এবার সেই যাদবপুরেই ঝুলল ‘কড়া’ নোটিস। মাদক বিরোধী অভিযান চালাতে কড়া পদক্ষেপ নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে মদ্যপান, মাদক সেবন বরদাস্ত নয়। ধরা পড়লে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পড়াশোনার সময় বা পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোনওভাবে বাজানো যাবে না লাউডস্পিকার।

পাশাপাশি শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন যে কোনও বাণিজ্যিক কার্যকলাপও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে জারি হয়েছে নোটিস। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দফতর থেকে জারি হয়েছে এই নির্দেশিকা। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। জোর জল্পনা শুরু হয়েছে শিক্ষা মহলেও। 

প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই ক্যাম্পাসে ঢুকে তল্লাশি চালাতে দেখা গিয়েছিল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) প্রতিনিধিদের। বেশ কয়েকজন বহিরাগতদের থেকে মাদকও মিলেছিল বলে খবর। রাজ্যের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যায়লে এনসিবি-র হানা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল শিক্ষামহলে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলেও আওয়াজ উঠেছিল নাগরিক মহলের একটা বড় অংশ থেকে। এমতাবস্থায়, এবার এই কড়া নির্দেশিকা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন তরজা। এ প্রসঙ্গে ফেটসুর ছাত্র নেতা অরিত্র মজুমদার বলেন, “হঠাৎ করে এই বিজ্ঞপ্তি দেখেছি, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে মতামত জানাব।”  অন্যদিকে কিছুদিন আগেই আবার বিনা অনুমতিতে বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ। গেটে টাঙানো হয়েছিল বোর্ড। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরেই। বিতর্কেই আবহে অবশেষে বোর্ড খুলে নিতে বাধ্যও হন অরবিন্দ ভবনের কর্তারা।