Jadavpur University: ‘আমিই তো র্যাগিংয়ের শিকার’, বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্থার ঘটনায় বিস্ফোরক যাদবপুরের উপাচার্য
Jadavpur University: একই সঙ্গে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন যখন তাঁকে ঘিরে রাখা হয়েছিল সেই সময় কোনও কোনও স্টেক হোল্ডার প্রতিবাদ করেননি। শুধু মাত্র পড়ুয়ারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন না। এর পিছনে পাকা কোনও মাথা থাকলেও থাকতে পারে।
কলকাতা: বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ পড়ুয়ার বিক্ষোভের মধ্য পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। শনিবার এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ক্ষুব্ধ উপাচার্য বলেন, “আমিই তো র্যাগিংয়ের শিকার”। একই সঙ্গে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন যখন তাঁকে ঘিরে রাখা হয়েছিল সেই সময় কোনও কোনও স্টেক হোল্ডার প্রতিবাদ করেননি। শুধু মাত্র পড়ুয়ারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন না। এর পিছনে পাকা কোনও মাথা থাকলেও থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, আগামী মঙ্গলবার এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই একই দিনে আবার স্টেক হোল্ডারদের মিটিং ডাকা হয়েছে। সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, “ইসি-র মিটিংকে বানচাল করার উদ্দেশ্য রয়েছে। সেক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দরকার। দেখতে হবে এর পিছনে কোনও পাকা মাথা আছে।” তখনই মন্তব্য করতে গিয়ে বৃহস্পতিবারের ‘হেনস্থা’ কথা উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “আমিই তো র্যাগিংয়ের শিকার।” বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কাজ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করে উপাচার্য বলেন, “আমি কাজ করার চেষ্টা করব। যদি বাধা দেয় তাহলে আমি কাজ করব না। ইসি বানচাল করলে কোনও কাজ হবে না। স্টেক হোল্ডার মিটিং নাহলে ইসি করতে দেওয়া হবে না, এটাই আমার কাছে সন্দেহের।”
উল্লেখ্য, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বা ইসি-র মিটিং মূলত হয়ে থাকে উপাচার্য, অধ্যাপক, ডিন, রেজিস্ট্রার, ইউজিসি-র নমিনি ও রাজ্য সরকারের নমিনির মধ্যে।
প্রসঙ্গত, আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের নিয়োগ করা উপাচার্য নিয়ে রাজ্য-রাজভবন বিতর্ক নতুন নয়। যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সি ভি আনন্দ বোস উপাচার্য নিয়োগ করেছেন সেখানে উপাচার্যদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠছে। তার মধ্যে অন্যতম রবীন্দ্র ভারতী ও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। এবার সেই একই অভিযোগ তুললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু পর যখন উত্তাল যাদবপুর, সেই সময়ই অন্তবর্তী উপাচার্য হিসাবে আচার্য সি ভি আনন্দ বোস নিয়োগ করেন বুদ্ধদেব সাউকে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার পড়ুয়াদের একাংশের জটলার মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে। অবস্থানরত পড়ুয়ারা সব পক্ষের স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে বৈঠকে বসার দাবিতে ঘেরাও করে রাখেন উপাচার্যকে।