
নয়াদিল্লি: যাদবপুরের ক্যাম্পাসে নির্বাচনী রব। ৫ বছর পর হতে চলেছে ভোট। ঘুঁটি সাজাচ্ছে একের পর এক ছাত্রদল। তবে এই ভোট কিন্তু মোটেই ছাত্রদের নয়। বরং গবেষকদের জন্য। রাজ্যে এই প্রথম কোনও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনের মাধ্যমে আইসিসি-তে প্রবেশ করছেন গবেষক-পড়ুয়ারা।
পাঁচ বছর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ নিরসন কমিটি বা আইসিসি (ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস কমিটি)-তে হতে চলেছে গবেষক প্রতিনিধি বাছাইয়ের কাজ। এই ভোটের সম্পূর্ণ নির্ঘন্ট এখনও প্রকাশ করেনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে সূত্রের খবর, আগামী ২৭ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রয়েছে ভোটদান পর্ব। যা শুরু হবে দুপুর আড়াইটে-তে। চলবে সন্ধ্য়া সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। ভোট দেবেন মোট ২ হাজার ৩০০ পড়ুয়া ভোটার। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নমিনেশন পড়েছে মোট ৫ জনের।
এত বছর পর ভোট বলে কথা, ফলত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেও একটা ‘সাজো-সাজো’ রব। অবশ্য এই সজ্জা নির্বাচনের। ইতিমধ্য়ে প্রচারে নেমে পড়েছে ছাত্র রাজনৈতিক দলগুলি। পড়ে গিয়েছে পোস্টার-ব্যানার। তবে আইসিসি এই গবেষক প্রতিনিধি নির্বাচনকে ‘বেআইনি’ বলেই দাগাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি কিশলয় রায় বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে ভাল কথা কিন্তু গোটাটাই বেআইনি। ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়নি। এদিকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শেষ। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ হলে তবেই তো সেটা নিয়ে ব্যাকুল হব। কিন্তু এখানে সব উল্টো।’
এই গবেষক প্রতিনিধি বাছাইয়ের নির্বাচনে নেই তৃণমূল শিবিরের প্রার্থী। তবে তাঁরা যে এই ভোটকে ‘বয়কট’ করেছে এমনটাও নয়। স্বচ্ছভাবে নির্বাচন হোক, সেই দাবিতেই সরব শাসকদলের ছাত্র পরিষদ। অন্যদিকে, বাম সমর্থিত প্রার্থী রচয়িতা রায় বলেন, ‘এই নির্বাচন আমাদের কাছে একটা বড় সুযোগ। কারণ এখানে যদি আমরা প্রতিনিধি পাঠাতে পারি তা হলে গবেষকরাও এবার নিজেদের একটা পরিচয় পাবেন। যে সকল ওয়েলফেয়ার বোর্ড বা অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি রয়েছে সেখানে গবেষকদের প্রতিনিধিত্ব করার পথ খুলে যাবে।’
এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘এখন যেহেতু কোনও ছাত্র সংসদ নেই তাই মনোনয়নের জায়গাও নেই। সেই কারণেই এই নির্বাচন। একজন গবেষক প্রতিনিধিও সেখানে প্রয়োজন। কারণ সেটা ছাড়া আইসিসি চলতে পারে না।’