কলকাতা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) বিস্ফোরক চিঠি লিখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দলত্যাগের পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত কলকাতা বা রাজ্য পুলিস তাঁকে ফাঁসিয়ে দিতে পারে। সেই আশঙ্কা করে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের আবেদন করেছিলেন দলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক। সেই চিঠির প্রেক্ষিতেই শুভেন্দুর অধিকারীর বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা আশা করে মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা চিঠি দিলেন রাজ্যপাল।
চিঠিতে জগদীপ ধনখড় লিখেছেন, “আমি বারবার প্রশাসনিক কর্তাদের রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকার কথা বললেও আপনি বা আপনার মুখ্যসচিব বা ডিজিপির তরফে কোনও সদর্থক ভূমিকা নেওয়া হয়নি।” শুভেন্দুর চিঠি পেয়েই টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। টুইটে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আন্দাজ করে তাঁর কাছে হস্তক্ষেপের আবেদেন করেছেন। সে বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ করবেন।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন ধনখড়। পাশাপাশি রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয় তার জন্য যৌথভাবে মানুষের কাছে ভাবমূর্তি তৈরি করা প্রয়োজন। তাছাড়াও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাংবিধানিক প্রধানের বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকের প্রয়োজনীয়তার কথা ফের উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করতে লালার মাসে খরচ হত ৪০ কোটি, ব্যাগে করে টাকা পৌঁছত দক্ষিণ কলকাতায়!
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানিয়ে ছিলেন, শুভেন্দুর চিঠিতে অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্য প্রশাসন। এবার ধনখড়ের পাল্টা চিঠিতে সেই অস্বস্তি আরও বাড়ল। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু বিধায়ক পদ ছেড়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়ায় তাঁর রাজনৈতিক গন্তব্য নিয়েও তুমুল আলোচনা হচ্ছে সব মহলেই।