কলকাতা : উপনির্বাচনের বিজেপির (West Bengal BJP) কার্যত ভরাডুবি হয়েছে। আসানসোলের শক্ত জমি হাতছাড়া হয়েছে। বালিগঞ্জের দ্বিতীয় স্থান থেকে তৃতীয়তে নেমে গিয়েছে পদ্ম, জামানত জব্দ হয়েছে কেয়ার। আর তারপর থেকেই একের পর এক বিজেপি নেতা দলের দিকেই আঙুল তুলতে শুরু করেছেন। প্রথম শুরু করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। বিজেপি নেতার সেই বক্তব্য প্রসঙ্গে রবিবার জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “তিনি (সৌমিত্র) যে বক্তব্য রেখেছেন তার মধ্যে তাৎপর্য বিষয় হল, তিনি বলেছেন অযোগ্য নেতৃত্ব। যেটা সার্বিকভাবে সত্য। এই অযোগ্য নেতৃত্ব আসার পিছনে সেই চক্রান্তের মূল নায়ক হলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেটা আমি জানি।”
বিজেপির নেতৃত্ব নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে, সেই প্রসঙ্গেও আজ মুখ খোলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। বলেন, “প্রথমেই বলেছি বিজেপির মধ্যে অনেক ক্ষোভ বিক্ষোভ রয়েছে। এখন তা বাইরে চলে আসছে। এখন ফল বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই ভেতরের কঙ্কালসার চেহারাটা বেরিয়ে পড়ছে সংগঠনের।” বিজেপির এই অবস্থার জন্য কার্যত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেই একতরফাভাবে দায়ী করেন তিনি। জয়প্রকাশের দাবি, “একাধিপত্য কায়েম করার জন্যই শুভেন্দু অধিকারী এই রকম করছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে অবিলম্বে যদি বিজেপি ছাড়তে পারে তাহলে দলটা হয়ত এ রাজ্যে থাকবে না। ইতিমধ্যেই দলটা সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে।”
উল্লেখ্য, বিজেপির জেলা নেতৃত্বের উপর সৌমিত্র খাঁ আঙুল তোলার পর রবিবার অনুপম হাজরার সরব হয়েছেন। এরপর মুর্শিদাবাদের বিজেপি নেতা গৌরিশঙ্কর ঘোষ দলের রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বিদ্রোহ দেখা গিয়েছে নদিয়া জেলাতেও। সেই প্রসঙ্গে রবিবার জয়প্রকাশ মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের পর বিজেপির কঙ্কালটা সামনে এসে গিয়েছে। নদিয়ায় বিজেপির সকলেই পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এটা শুধু নদিয়া নয়, চারিদিক থেকে এই আওয়াজ উঠছে।”
আরও পড়ুন : Exclusive Saugata Roy: বাবুল-শত্রুঘ্নকে কী কারণে প্রার্থী করেছে তৃণমূল, ফাঁস করলেন সৌগত রায়