কলকাতা: তপন কান্দু হত্যা মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য। সিবিআই তদন্তের নির্দেশের বিরোধিতায় ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য। দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবারই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের দৃষ্টি আকর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। গত ৪ এপ্রিল সিবিআইকে এই মামলার তদন্তভার দিয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গেল বেঞ্চ। উল্লেখ্য, বুধবারই এই মামলায় তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই।
প্রথম থেকেই এই ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পুলিশের ওপর যে তাঁদের আস্থা নেই, তা জানিয়ে এসেছেন প্রথম থেকেই। এই দাবিতে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।
কাউন্সিলর খুনের তদন্তে ইতিমধ্যেই ঝালদা যাচ্ছে সিবিআই টিম। এক ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে দলটি এদিন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখবেন। সিবিআই-এর এই বিশেষ দলটির নজরদারিতে রয়েছেন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার। বুধবারই জেলা পুলিশের থেকে কেস ডাইরি ও তদন্তের সব নথি হাতে নেয় সিবিআই। এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। মঙ্গলবারই জেলা পুলিশের কাছে এই মামলার এফআইআর কপি চাওয়া হয়। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে সিবিআই। জেলা পুলিশ এখনও পর্যন্ত যে সব তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেছে, তা সিবিআই হাতে নেবে।
তবে সব থেকে উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল, ঝালদার কাউন্সিলর খুনের তদন্তে যেদিন সিবিআই টিম প্রথম ঘটনাস্থলে পৌঁছবে, ঠিক তার আগের রাতেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় এই ঘটনার অন্যতম প্রধান প্রত্যক্ষদর্শীর। বুধবার ভোররাতে তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুর ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের আর্জি গৃহীত হয় কিনা, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: ‘ওঁ আমার ভবিষ্যৎবাণীকে ঠিক করে দিয়েছেন’, অনুব্রত প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত