Jibankrishna Saha: ঘনিষ্ঠদের নামে কোটি কোটি নগদ টাকায় জমি কিনতেন জীবন! উৎস খুঁজতে চায় ইডি

Jibankrishna Saha ED: ইডি তদন্তে জানতে পেরেছে, গত কয়েক বছরে জীবন নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নাম করে প্রচুর জমি কিনেছিল। সেই জমি আবার কেনা হয়েছিল নগদ টাকায়। সাধারণত জমি বা সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে আম জনতা লোন নেন, কিংবা কোথাও থেকে সুদে টাকা ধার করেন।

Jibankrishna Saha: ঘনিষ্ঠদের নামে কোটি কোটি নগদ টাকায় জমি কিনতেন জীবন! উৎস খুঁজতে চায় ইডি
জীবনকৃষ্ণ সাহাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 26, 2025 | 10:36 AM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় ঘনিষ্ঠদের নামে নগদে জমি কিনেছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁদের অনুমান, সম্পত্তি নগদে কিনেই কালো টাকা সাদা করার ছক তৃণমূল বিধায়কের। পিসি মায়া সাহা, নিতাই সাহা, গৌর সাহা, রাজেশ ঘোষ-সহ ঘনিষ্ঠদের নামে প্রচুর জমি কেনার নথি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। স্ত্রীর নামেও প্রচুর সম্পত্তি নগদে কেনা হয়েছে বলে ইডি তদন্তে জানতে পেরেছে। গত পাঁচ বছরে কত সম্পত্তি বেড়েছে জীবনকৃষ্ণের, জানতে জীবন-ঘনিষ্ঠদের আয়কর রিটার্নে নজর ইডি-র। জীবনের স্ত্রী ও পিসি মায়া সাহাকে সম্পত্তির নথি-সহ তলব করা হয়েছে।

ইডি তদন্তে জানতে পেরেছে, গত কয়েক বছরে জীবন নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নাম করে প্রচুর জমি কিনেছিল। সেই জমি আবার কেনা হয়েছিল নগদ টাকায়। সাধারণত জমি বা সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে আম জনতা লোন নেন, কিংবা কোথাও থেকে সুদে টাকা ধার করেন। কিন্তু জীবনের যা রেকর্ড, তাতে দেখা যাচ্ছে সমস্ত জমি কেনা হয়েছিল নগদে।

বীরভূম, মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন বিভিন্ন জেলাতে জীবন তাঁর ঘনিষ্ঠ রাজেশ কিংবা গৌর-নিতাইয়ের নামে জমি কিনেছিলেন। যাতে নিজের নামটা আড়াল রাখা যায়। এছাড়াও প্রচুর অস্থাবর সম্পত্তি, ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিটের হদিশও মিলেছে।  এর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

সোমবার আবারও জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। এদিন যেন ঠিক দেড় বছর আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। ইডি-র দাবি জীবন ফোন ছুড়ে পুকুরে ফেলার চেষ্টা করেন। যদিও তা ব্যর্থ হয়, মোবাইল পড়ে পুকুরপা়ড়ে। আবার নিজেও পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। পাঁচিল থেকে পড়ে চোটও পান। তাঁর কর্দমাক্ত একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভীষণভাবে ছড়িয়ে পড়ে।  ব্যাঙ্কশাল আদালত জীবনকৃষ্ণকে আপাতত ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল গ্রেফতার হওয়ার আগে ৩ বার হাজিরা দিয়েছেন। তাঁর স্ত্রীও হাজিরা দিয়েছেন। সব নথি জমা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকবার তদন্তে সহযোগিতা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “গ্রেফতারের এত তৎপরতা কেন, দেখা দরকার। জামিন চাইছি না। মামলা থেকে মুক্তি চাইছি।”