Jiban Krishna Saha: জীবনকৃষ্ণকে হেফাজতে নিয়ে কী বলল ইডি? কী বলছেন তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবী?
ED on Jiban Krishna Saha: জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল গ্রেফতার হওয়ার আগে ৩ বার হাজিরা দিয়েছেন। তাঁর স্ত্রীও হাজিরা দিয়েছেন। সব নথি জমা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকবার তদন্তে সহযোগিতা করা হয়েছে।

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করেছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। এদিন তৃণমূল বিধায়ককে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সেখানে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। ড্রেনে মোবাইল ফেলে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্তের আইনজীবী। শেষপর্যন্ত তৃণমূল বিধায়ককে ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে ৬ দিনের ইডি হেফাজতের আবেদন জানান ইডি-র আইনজীবী। তিনি দাবি করেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে ধৃতের স্ত্রী, বাবার অ্যাকাউন্টে। নিজের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত বলছেন, বাবা গিফট করেছেন। স্ত্রী বলছেন, চাকরি করে আয় করা টাকা। ইডির দাবি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ অন্যতম মূল চক্রী। নগদে কিংবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা নেওয়া হয়েছে। তাঁর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও টাকা জমা পড়েছে। অনেকেই এই ব্যাপারে বয়ান দিয়েছেন। আদালতে ইডি আরও বলে, তৃণমূল বিধায়ক পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। মোবাইল নর্দমায় ছুড়ে ফেলেছিলেন।
জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল গ্রেফতার হওয়ার আগে ৩ বার হাজিরা দিয়েছেন। তাঁর স্ত্রীও হাজিরা দিয়েছেন। সব নথি জমা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকবার তদন্তে সহযোগিতা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “গ্রেফতারের এত তৎপরতা কেন, দেখা দরকার। জামিন চাইছি না। মামলা থেকে মুক্তি চাইছি।”
২ পক্ষের সওয়াল শেষে বিচারক ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। তদন্তে সহযোগিতার জন্য তৃণমূল বিধায়ককে নির্দেশ দেন। আগামী শনিবার ফের আদালতে তোলা হবে বড়ঞার বিধায়ককে।
ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন, “৬ দিনের ইডি হেফাজত হয়েছে। উনি আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছিলেন না, তাই গ্রেফতার করা হয়েছে।” তবে আদালত থেকে বেরনোর সময় জীবনকৃষ্ণ দাবি করেন, তিনি মোবাইল ছোড়েননি। একইসঙ্গে বলেন, “সব বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।” তাঁর গ্রেফতারির পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক।
