Jiban Krishna Saha: বদলাননি জীবনকৃষ্ণ! ED ঢুকতেই ফের বাড়ির পিছনের পুকুরকেই ‘ঢাল’ করলেন বিধায়ক
Jiban Krishna Saha: ইডির তদন্তকারীরা ঢুকতেই ফের পুকুরে ফের ফোন ফেললেন জীবনকৃষ্ণ। তবে এবারও রেহাই আর পেলেন না। বিধায়কের বাড়ির পিছনের পুকুরপাড় থেকে ইতিমধ্যেই একাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছেন ইডি আধিকারিকরা। এই ফোনগুলিতে কী রয়েছে?

মুর্শিদাবাদ: জীবনকৃষ্ণের জীবন কি একটি পুকুর বাঁচাতে পারবে? এটাই এখন সব থেকে প্রশ্ন। কারণ, ২০২৩ থেকে ২৫ সাল, মাঝে কেটে গিয়েছে দু’টো বছর। কিন্তু সময় এগোলেও, বদলাননি বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। জীবন রয়েছেন জীবনেই। সোমবার ভোরে তার বাড়িতে ইডি হানা দিতেই সেই বাড়ির পিছনের পুকুরকেই ‘ঢাল’ করার চেষ্টা করলেন নিয়োগ মামলায় জড়িত এই তৃণমূল বিধায়ক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইডির তদন্তকারীরা ঢুকতেই ফের পুকুরে ফের ফোন ফেললেন জীবনকৃষ্ণ। তবে এবারও রেহাই আর পেলেন না। হল না লক্ষ্যভেদ! পুকুর নয়, পুকুরপাড়ে পড়ল দু’টি ফোন। উদ্ধার করলেন ইডি আধিকারিকরা। এই ফোনগুলিতে কী রয়েছে? কেনই বা তা ফেলে দিতে হল বিধায়ককে? সেটাই এখন যাচাই করবে তারা। পাশাপাশি, জীবনকৃষ্ণের ভবিষ্যৎ ফের কোনও মোড় নেয়, সেটাও এখন দেখার বিষয়।
এমনকি, পুকুরে মোবাইল ফোন ফেলেই যে তিনি ক্ষান্ত হয়েছেন এমন নয়। ইডি হানার আভাস পেয়েই বাড়ির পিছনের দেওয়াল টপকে পালানোরও চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী জাপটে ধরে তাকে। আর পালিয়ে যেতে পারেন না জীবনকৃষ্ণ।
২০২৩ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিধায়কের কান্দির বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। টানা চলেছিল চিরুনি-তল্লাশি। আর সেই তল্লাশির ফাঁকে নাটকীয় মোড় টেনে এনেছিলেন বড়ঞার বিধায়ক। ছাদে উঠে নিজের সর্বক্ষণের ব্যবহারের দু’টি মোবাইল ফোন তিনি ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন ওই পুকুরেই। এরপর দু’দিন ধরে পাম্প চালিয়ে, কাদা-জল ঘেঁটে দু’টি মোবাইল উদ্ধার করে সিবিআই। অবশ্য, সুপ্রিম নির্দেশে জামিন পাওয়ার পর জীবনকৃষ্ণ সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেছিলেন তিনি এমন কোনও কাজ করেননি।
এদিন জীবনকৃষ্ণের বাড়ি-সহ আরও চার জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। এসএসসি গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি মামলায় সাঁইথিয়ায় ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই তৃণমূল কাউন্সিলরও জড়িত। যিনি আবার সম্পর্কে জীবনকৃষ্ণের পিসি। এছাড়াও, তল্লাশি চালানো হয়েছে মুর্শিদাবাদেরই রঘুনাথগঞ্জে স্থিত জীবনকৃষ্ণের শ্বশুরবাড়িতেও। তল্লাশি চলেছে বড়ঞার এক ব্যাঙ্ক কর্মীর বাড়িতেও। ইডির একটি প্রতিনিধি দল যখন মুর্শিদাবাদে হানা দিয়েছে, ওই সময় আরও একটি দল পৌঁছে যায় পুরুলিয়ায় দুর্নীতি মামলায় জড়িত প্রসন্ন রায়ের শ্বশুরবাড়িতে।

