কলকাতা: তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জেহাদি ভাবধারা প্রচার করা এবং যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে দলে টানাই ছিল ধৃত ৩ জেএমবি জঙ্গির কাজ (Kolkata JMB)। জেরায় আপাতত সে বিষয়টি স্বীকার করেছে ধৃতরা।
এই কাজের জন্যে ধৃতরা প্রত্যেকেই একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। বিভিন্ন নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রচার চালানোর জন্য ব্যবহার করা হত একাধিক মোবাইল ফোন। ভুয়ো নথি দিয়ে সিম কার্ড তুলে সেই সব ফোন ব্যবহার করা হত বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
এসটিএফের হাতে ধরা পড়ার আগেই ধৃতরা নিজেদের ব্যবহৃত বেশ কিছু মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড সরিয়ে ফেলে। সেই সব মোবাইল ফোন ও সিমকার্ডের হদিশ পেতে চান গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের অনুমান, তথ্য প্রমাণ লোপাট করার জন্য স্থানীয় একটি পুকুরে ওই সব ফোন এবং সিমকার্ড ফেলে দিয়েছে ধৃতরা।
ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বড়িশার এক বৃদ্ধের কাছ থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য তাঁর ভোটার পরিচয়পত্র নেয় জেএমবি’র কলকাতা মডিউলের লিঙ্কম্যান সেলিম মুন্সি।
কীভাবে ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে তারা সেই তথ্যও হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। হরিদেবপুর থেকে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেফতার হয় তিন জেএমবি জঙ্গি নাজিউর রহমান পাভেল, মেকাইল খান ওরফে শেখ সাব্বির এবং রবিউল ইসলাম।
তদন্তে জানা গিয়েছে, বিপুল অর্থ সংগ্রহ এবং নতুন মডিউলে স্লিপার সেল তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েই কলকাতায় এসে গা ঢাকা দিয়েছিল তিন জঙ্গি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কলকাতায় বড়সড় ডাকাতির ছক ছিল তাদের। আরও পড়ুন: ভুয়ো সিবিআই অফিসারের ‘গোপন ডেরাতে’ লাল দড়ির ফাঁস! ধৃতকে সঙ্গে নিয়েই চলবে অভিযান