কলকাতা: হাইকোর্টের বিচারপতি পদ থেকে মঙ্গলবারই ইস্তফা দিচ্ছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জোর জল্পনা, এবার রাজনীতিতে আসতে চলেছেন তিনি। এরইমাঝে সোমবার টিভিনাইন বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন তিনি। রাজনীতিতে মমতার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন তিনি। এই বিচারপতিই গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর আরজি কর হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মমতার প্রশংসা করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন।
কী হয়েছিল সেদিন? পলতার এক ছাত্রী সুনীতা বর্মা। ব্যারাকপুরে মহাদেবানন্দ কলেজের ছাত্রী তিনি। সেমেস্টার চলছিল সে সময়। পরীক্ষা দিতে পলতা থেকে ব্যারাকপুর যাচ্ছিলেন। পলতা প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ভিড়ে পা ফস্কে পড়ে যান তিনি। ট্রেনে দু’টো পা কাটা পড়ে তাঁর।
সেই ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল আরজি করে। তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, “আমরা সকলেই ওর পাশে আছি। আমি আশা করি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একজন অত্য়ন্ত সহৃদয় একজন মানুষ…।” এই কথা বলতে গিয়েই কেঁদে ফেলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন তিনি। এরপর কোনওমতে নিজেকে সামলে নেন।
এই মুহূর্তে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যেখানে তাঁর এক পরিচয় থেকে আরেক পরিচয়ে যাওয়া এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন অনেকেই। সেখানে দাঁড়িয়ে সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যিই একজন সরল মহিলা। দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ এবং পুরনো রাজনীতিবিদ, যিনি ব্যক্তিগত আক্রমণকে গ্রাহ্য না করে বিরোধিতা চালিয়ে গিয়েছেন। কংগ্রেসের বীরেরা যখন পালিয়েছেন, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মাথায় লাঠি খেয়েছেন। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন।”