আজ কালীপুজো। শক্তির আরাধনার দিন। কালী পুজোর সঙ্গে বাংলার যেন এক অবিচ্ছিন্ন যোগ রয়েছে। শক্তিপীঠ, সতীপীঠগুলিতে সকাল থেকেই চলছে উপাসনা। উপাচার মেনে চলছে পুজো। পাশাপাশি মন্দিরগুলিতে নেমেছে ভক্তদের ঢল। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিও মেতেছে কালী পুজোর আরাধনায়।
বাড়ির পুজোয় অঞ্জলি দিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আলোর উৎসবে সেজে উঠেছে দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণীর মন্দির।
বাড়ির পুজোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলছে পুজোর ব্যবস্থা।
বারাসত কালিকাপুর যুব গোষ্ঠীর এবারের ভাবনা ‘মুঠোফোনে শৈশবের সর্বনাশ’। কীভাবে মোবাইলের জন্য শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে তা তুলে ধরা হয়েছে তাদের পুজো মণ্ডপে।
স্বাধীনতার আগে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য বাগনানে মা কালীর পুজোর আরম্ভ করেছিলেন বিপ্লবী বিভূতিভূষণ বোস। ১৯২১ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য কয়েকজন যুবককে নিয়ে কালীপুজো শুরু করেন তিনি। সেই পুজো ১০০ বছরে পড়ল। বর্তমানে এই পুজোর দায়িত্বভার নিয়েছে বাঙালপুর বয়েজ ক্লাবের সভ্যবৃন্দ থেকে গ্রামের মানুষ। এই বছর তাদের ভাবনা ‘মাটির টানে’।
বয়স কত কেউ জানে না। কবেই বা এর সূত্রপাত হয়েছিল কার হাত ধরে হয়েছিল সে সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল নয় এলাকার সব মানুষ। তবে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমলে কাশীপুরের এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তখন থেকেই এখানে একটানা পুজো হয়ে আসছে। ফি বছর সেই মন্দিরের কালীপুজো (Kalipuja 2022) ঘিরেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির (Communal Harmony) অনন্য নজির ধরা পড়ে ভাঙড়ের কাশীপুর (Kasipur) গ্রামে।
বিস্তারিত পড়ুন: Kalipuja 2022: কাশীপুরে কালীপুজোতে সম্প্রীতির সুর, মহামায়ার আরাধনায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উৎসবে মাতেন দুই সম্প্রদায়ের মানুষ
উত্তর কলকাতার অন্যতম জাগ্রত মন্দির ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি। ১১১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। তারপর থেকে নিয়মিত পুজো-অর্চনা চলে। তবে আজ বিশেষ উপাচার চলছে।
যখন এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গোটা এলাকা ছিল জঙ্গলে ভরা। ডাকাতদের আক্রমণ বাড়লে নাকি মন্দিরের ঘণ্টা ঠনঠন করে বাজত। সেখান থেকেই নাম হয়েছে ঠনঠনিয়া
দমদম সেভেন ট্যাঙ্কের পান্নালোকের শ্যামা পুজো। এই বছর তারা ১৫ বছরে পদার্পণ করল। পুরীর মন্দিরকে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন থিমে। এই পুজোর পুরধা তথা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘প্রতিবার আমরা পরিকল্পনা করে নতুন থিম আনার চেষ্টা করি। আর এই বছর পুরীর জগন্নাথ দেবকে স্বল্প পরিসরের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।অন্তর থেকে ভাল কাজ করলে প্রকৃতি এবং ঈশ্বর সহযোগিতা করেন।’
ঝোড়ো হাওয়ার দাপট উড়িয়ে ছাতা মাথায় নিয়ে ভিড় দক্ষিণেশ্বরে। বেলা ১২টা থেকে ভোগ দেওয়া শুরু হবে। সেই সময় কিছুক্ষণের জন্য দরজা বন্ধ থাকবে। এরপর বাঁধভাঙা লাইন থাকবে বলেই মনে করছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সতীপীঠ কামাখ্যা। পুরাণে যে চারটি প্রধান সতীপীঠের উল্লেখ রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। সকাল থেকে শুরু হয়েছে পুজো। হোম-যজ্ঞ চলছে সেখানে। অগুনতি ভক্ত সমাগম হয়েছে।
তারাপীঠে (Tarapith) এদিন মা তারাকে কালী রূপে পুজো করা হয়। কারণ মা এখানে অধিষ্ঠাত্রি দেবী। সব দেবীর উর্দ্ধে মা তারাকে মান্যতা দেওয়া হয়। তাই তারাপীঠে কোনও দেবী মূর্তির পুজোর চল নেই। মা তারাকে সামনে রেখেই সমস্ত দেবী মূর্তির পুজো করা হয় সিদ্ধপীঠ তারাপীঠে। দীপান্বিতা কালী পুজোর তিথিতে সেই কারণে মা তারাকেও শ্যামা রূপে পুজো করা হয়। এ দিন মায়ের নিত্য পুজার্চনার পাশাপাশি শ্যামা রূপে মা তারাকে বিশেষ পুজো করা হবে।
বিস্তারিত পড়ুন: Tarapith Temple: কালীপুজোয় প্রচুর ভক্ত সমাগম তারাপীঠে, সারারাত খোলা থাকবে মন্দির
আজ কালীপুজো। শক্তির আরাধনার দিন। কালী পুজোর সঙ্গে বাংলার যেন এক অবিচ্ছিন্ন যোগ রয়েছে। শক্তিপীঠ, সতীপীঠগুলিতে সকাল থেকেই চলছে উপাসনা। উপাচার মেনে চলছে পুজো। পাশাপাশি মন্দিরগুলিতে নেমেছে ভক্তদের ঢল। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিও মেতেছে কালী পুজোর আরাধনায়।
বাড়ির পুজোয় অঞ্জলি দিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আলোর উৎসবে সেজে উঠেছে দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণীর মন্দির।
বাড়ির পুজোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলছে পুজোর ব্যবস্থা।
বারাসত কালিকাপুর যুব গোষ্ঠীর এবারের ভাবনা ‘মুঠোফোনে শৈশবের সর্বনাশ’। কীভাবে মোবাইলের জন্য শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে তা তুলে ধরা হয়েছে তাদের পুজো মণ্ডপে।
স্বাধীনতার আগে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য বাগনানে মা কালীর পুজোর আরম্ভ করেছিলেন বিপ্লবী বিভূতিভূষণ বোস। ১৯২১ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য কয়েকজন যুবককে নিয়ে কালীপুজো শুরু করেন তিনি। সেই পুজো ১০০ বছরে পড়ল। বর্তমানে এই পুজোর দায়িত্বভার নিয়েছে বাঙালপুর বয়েজ ক্লাবের সভ্যবৃন্দ থেকে গ্রামের মানুষ। এই বছর তাদের ভাবনা ‘মাটির টানে’।
বয়স কত কেউ জানে না। কবেই বা এর সূত্রপাত হয়েছিল কার হাত ধরে হয়েছিল সে সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল নয় এলাকার সব মানুষ। তবে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমলে কাশীপুরের এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তখন থেকেই এখানে একটানা পুজো হয়ে আসছে। ফি বছর সেই মন্দিরের কালীপুজো (Kalipuja 2022) ঘিরেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির (Communal Harmony) অনন্য নজির ধরা পড়ে ভাঙড়ের কাশীপুর (Kasipur) গ্রামে।
বিস্তারিত পড়ুন: Kalipuja 2022: কাশীপুরে কালীপুজোতে সম্প্রীতির সুর, মহামায়ার আরাধনায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উৎসবে মাতেন দুই সম্প্রদায়ের মানুষ
উত্তর কলকাতার অন্যতম জাগ্রত মন্দির ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি। ১১১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। তারপর থেকে নিয়মিত পুজো-অর্চনা চলে। তবে আজ বিশেষ উপাচার চলছে।
যখন এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গোটা এলাকা ছিল জঙ্গলে ভরা। ডাকাতদের আক্রমণ বাড়লে নাকি মন্দিরের ঘণ্টা ঠনঠন করে বাজত। সেখান থেকেই নাম হয়েছে ঠনঠনিয়া
দমদম সেভেন ট্যাঙ্কের পান্নালোকের শ্যামা পুজো। এই বছর তারা ১৫ বছরে পদার্পণ করল। পুরীর মন্দিরকে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন থিমে। এই পুজোর পুরধা তথা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘প্রতিবার আমরা পরিকল্পনা করে নতুন থিম আনার চেষ্টা করি। আর এই বছর পুরীর জগন্নাথ দেবকে স্বল্প পরিসরের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।অন্তর থেকে ভাল কাজ করলে প্রকৃতি এবং ঈশ্বর সহযোগিতা করেন।’
ঝোড়ো হাওয়ার দাপট উড়িয়ে ছাতা মাথায় নিয়ে ভিড় দক্ষিণেশ্বরে। বেলা ১২টা থেকে ভোগ দেওয়া শুরু হবে। সেই সময় কিছুক্ষণের জন্য দরজা বন্ধ থাকবে। এরপর বাঁধভাঙা লাইন থাকবে বলেই মনে করছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সতীপীঠ কামাখ্যা। পুরাণে যে চারটি প্রধান সতীপীঠের উল্লেখ রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। সকাল থেকে শুরু হয়েছে পুজো। হোম-যজ্ঞ চলছে সেখানে। অগুনতি ভক্ত সমাগম হয়েছে।
তারাপীঠে (Tarapith) এদিন মা তারাকে কালী রূপে পুজো করা হয়। কারণ মা এখানে অধিষ্ঠাত্রি দেবী। সব দেবীর উর্দ্ধে মা তারাকে মান্যতা দেওয়া হয়। তাই তারাপীঠে কোনও দেবী মূর্তির পুজোর চল নেই। মা তারাকে সামনে রেখেই সমস্ত দেবী মূর্তির পুজো করা হয় সিদ্ধপীঠ তারাপীঠে। দীপান্বিতা কালী পুজোর তিথিতে সেই কারণে মা তারাকেও শ্যামা রূপে পুজো করা হয়। এ দিন মায়ের নিত্য পুজার্চনার পাশাপাশি শ্যামা রূপে মা তারাকে বিশেষ পুজো করা হবে।
বিস্তারিত পড়ুন: Tarapith Temple: কালীপুজোয় প্রচুর ভক্ত সমাগম তারাপীঠে, সারারাত খোলা থাকবে মন্দির